সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট তুলে নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক। শীর্ষ ব্যাংকের সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তায় আমজনতা। চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যতই গেল গেল রব তুলুক না কেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের একাধিক ভাল দিক রয়েছে। যার সুফল পাবে দেশবাসী।
২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন ড. কৃষ্ণামূর্থি সুব্রহ্মণ্যণ। তিনি ২ হাজারের নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের একাধিক ভালদিক দেখেছেন। তাঁর মনে এর পিছনে অন্তত ৬টি ভাল দিক রয়েছে।
এক, অধিকাংশ মানুষই যারা বাড়িতে নগদ মজুত রাখেন তাঁরা ২ হাজারের নোট মজুত রাখতেন। অর্থনীতির নিয়ম বলছে, ৮০ শতাংশ মানুষের কাছে মজুত টাকার মাত্র ২০ শতাংশ থাকে। বাকি ৮০ শতাংশ নগদ থাকে ২০ শতাংশ মানুষের কাছে। যার মধ্যে অধিকাংশই ২ হাজার টাকার নোট। তথ্য বলছে, ১ কোটি ৮১ লক্ষ ২ হাজারের নোট এখনও বাজারে রয়েছে। যার অর্থমূল্য ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকা। মনে করা হচ্ছে, এর মধ্য়ে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা এই ২০ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘সারদাকর্তার চিঠি, দিলীপের নথি দেখতে পায় না CBI?’, অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে প্রশ্ন কুণালের]
দুই, ২ হাজারে নোট তুলে নেওয়ায় খুব একটা সমস্যায় পড়বেন না আমজনতা। কারণ, বর্তমান বাজারে মধ্যবিত্ত বা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ খুব বেশি সংখ্যক ২ হাজারের নোট ব্যবহার করেন না।
তিন, ২০১৬ সালের পরবর্তী সময় লাফিয়ে বেড়েছে ডিজিটাল লেনদেন। আর এই ডিজিটাল লেনদেন যত বেড়েছে, ততই ২ হাজারের নোটে লেনদেন কমেছে।
চার, বর্তমানে ২ হাজারের নোটে বদলে ৫০০ টাকার নোটে লেনদেন সম্ভব। ন্যূনতম লেনদেনর জন্য ২ হাজার টাকার বদলে ৫০০ টাকার নোট ব্যবহার সম্ভব।
পাঁচ, ২০২৬ সালের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেন ৩ গুণ করতে চাইছে সরকার। সেই জন্য় একাধিক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে মোদি সরকার। তাই স্বাভাবিকভাবেই বড় নোটে লেনদেন কমছে।
ছয়, সবচেয়ে বড় কথা এখনই ২ হাজারের নোট পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নোট ব্যবহার সম্ভব হবে।