স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। রাজ্য সরাকরের তরফে বারবার অভিযোগ উঠছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও অন্যান্য নানা খাতে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখছে কেন্দ্র। সময়মতো তা দেওয়া হচ্ছে না বলে উন্নয়নমূলক একাধিক প্রকল্পের কাজ আটকে যাচ্ছে। এর আগে দিল্লি (Delhi) গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কিন্তু তারপরও বেশ কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। বৃহস্পতিবার হিসেব দিয়ে সেই তথ্য কেন্দ্রকে জানাল অর্থদপ্তর।
অর্থদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, এখনও কেন্দ্রের কাছে রাজস্ব (Revenue) ঘাটতি তহবিলের ৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। সম্প্রতি কেন্দ্রে এই খাতে বাংলাকে কিছু টাকা দেয়। তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। কোনও কোনও মহল থেকে বলার চেষ্টা হয়, বন্ধ হয়ে যাওয়া একশো দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার টাকা ফের রাজ্যকে দিতে শুরু করেছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: প্রতিমার শরীরে সাড়ে তিন কোটির গয়না! সিবিআইয়ের নজরে এবার অনুব্রতর মা কালীর স্বর্ণালঙ্কার]
সেই ভ্রান্তি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার হিসেবনিকেশ করে অর্থদপ্তর জানায়, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই টাকা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। এই খাতে রাজ্যকে আরও ৭ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে কেন্দ্রকে। এই টাকার সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দের কোনও সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে একাধিক রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে রাজস্ব ঘাটতি তহবিলে কয়েক ধাপে টাকা দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ এবার ষষ্ঠ কিস্তির টাকা পেয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২ সপ্তাহ গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না, হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার বাগুইআটি খুনের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র]
যে রাজ্যগুলির জন্য পোস্ট ডেভিলিউশন রাজস্ব ঘাটতি অনুদানের সুপারিশ করা হয়েছে, সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড। উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক ও আবাস যোজনা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্র। তাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে।