সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঠান হানাদারদের থেকে কাশ্মীর রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ডাকোটা বিমান। কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দিয়েছিল মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। দেশের বায়ুসীমা সুরক্ষিত করতে আত্মবলিদান দিয়েছেন স্কোয়াড্রন লিডার অজয় আহুজার মতো নির্ভীক বায়ুসেনার যোদ্ধারা। রক্তের বদলে অর্জন করা স্বাধীনতা রক্ষায় বায়ুসেনার অবদান অসীম। সোমবার বায়ুসেনার ৮৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সেনার এই বাহিনীকে সন্মান জানাল গোটা দেশ।
এদিন বায়ুসেনার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের হিন্দন এয়ারবেসে চলে জমকালো অনুষ্ঠান। সকালে প্যারেড করেন বিমানবাহিনীর জওয়ানরা। নিয়ন্ত্রিত ও অনুশাসিত যোদ্ধাদের কদমতাল মন জয় করে দর্শকদের। তারপরই মাঝ আকাশে শিহরণ জাগানো খেল দেখান প্যারাট্রুপাররা। মাথার উপর একের পর এক খেল দেখিয়ে উড়ে যায় সারঙ্গ হেলিকপ্টার ও সূর্যকিরণ বিমান। দর্শকদের চমক দিয়ে ‘ফ্লাইবাই’ করে সুখোই-৩০, মিগ-২১, মিগ-২৯ ও তেজসের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলিও। অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া। এদিন বায়ুসেনা দিবস উপলক্ষে বিমানবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বায়ুসেনা দিবস উপলক্ষে বীর সৈনিকদের সেলাম জানাচ্ছে দেশ। ভারতের বায়ুসীমা সুরক্ষিত রাখতে ও বিপর্যয় মোকাবিলায় বায়ুসেনার অবদান অপরিসীম।”
শুধুমাত্র অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নয়, বায়ুসেনার ঐতিহ্য প্রদর্শন করে এদিন আকাশে ডানা মেলে টাইগার মথ, ডর্নিয়ার ও ডাকোটার মতো ঐতিহাসিক বিমানগুলি। উল্লেখ্য, এদিন সামনে আসে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের আধুনিক সংস্করণ। রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি তেল ভরার প্রযুক্তি এখন বায়ুসেনার হাতে। এ ছাড়া মিগ-২৯ এখন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ। ৯৯-এর পাক যুদ্ধ সামলে দিলেও তারপর থেকেই আধুনিকীকরণের অভাবে ধুঁকতে শুরু করে ছিল ভারতের মিগ ২৯ বিমানগুলি। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল আধুনিকীকরণের কাজ। শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহেই জলন্ধরের আকাশে উড়তে দেখা গেল নব কলেবরে বলীয়ান মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানগুলিকে।
The post বায়ুসেনা দিবসে ডাকোটার পাশাপাশি আকাশ কাঁপাল মিগ-২৯ appeared first on Sangbad Pratidin.