সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসখানেক ধরে পুলিশের জালে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সেই ঘটনায় এবার উষ্মাপ্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কেন নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারিতে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা রুজু হয়। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। ওই মামলায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মোট ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন। তাদের ৩২ দিনের বেশি সময় জেলে রাখা হয়েছে।’’ এরপরই বিচারক বিস্মিত সুরে প্রশ্ন করেন, ‘‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে?’’ নওশাদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “নেতারও সংযত থাকা উচিত। তাঁর নেতৃত্বে কোনও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: ‘শত্রু’ চিহ্নিত, তবু মার্চ পর্যন্ত থাকবে অ্যাডিনোর দাপট, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের]
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ জানুয়ারি। ওইদিন ভাঙড়ের হাতিশালায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। পরদিন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। ভাঙড়ের অশান্তির রেশ ধরে ধর্মতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আইএসএফ। তাতেই নেতৃত্ব দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হন। সেই ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকি-সহ বহু আইএসএফ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার হন। সম্প্রতি নওশাদ সিদ্দিকিকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। তার পালটা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু হয়। বুধবার সেই মামলাতেই বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারপতি।