সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিদায়েঁ হামলায় আবারও রক্তাক্ত পাকিস্তান। বিস্ফেরণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ন’জন পুলিশকর্মী। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তেরোজন। অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাক সংবাদপত্র ‘ডন’ সূত্রে খবর, সোমবার বালোচিস্তানের বোলান অঞ্চলে পাক পুলিশের একটি কনভয়ে ফিদায়েঁ হামলা চালায় এক জঙ্গি। বিস্ফোরক বোঝাই মোটরসাইকেলে চেপে কনভয়ে ঢুকে পড়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারী। এর ফলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ন’জন পুলিশকর্মী। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তেরোজন। ওই এলাকার পুলিশ সুপার মাহমুদ নোতজাই বলেন, “বালোচিস্তান কন্সটেবুলারির সদস্যদের নিয়ে সিবি থেকে কোয়েটার পথে ফিরছিল একটি পুলিশ ভ্যান। তখনই হামলা হয়।”
এদিকে, এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। তবে এই ফিদায়েঁ বিস্ফেোরণের নেপথ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই আবার এই ঘটনায় পাকিস্তানি তালিবানের হাত দেখছেন। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে জোর তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে ক্ষমা করে দিন’, ট্রেন দুর্ঘটনায় উত্তপ্ত গ্রিসে জনতার কাছে নতজানু প্রধানমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি (Pakistan) শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছে বালোচরা।স্বাধীনতার দাবিতে পাকিস্তানি ফৌজের বিরুদ্ধে তুমুল লড়াই শুরু করেছে বালোচ বিদ্রোহীরা। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘বালোচিস্তান ন্যাশনাল আর্মি’। সূত্রের খবর, গত বছর ‘বালোচিস্তান রিপাবলিকান আর্মি’ ও ‘ইউনাইটেড বালোচ আর্মি’ এক ছাতার তলায় আসায় নতুন সংগঠনটি তৈরি হয়েছে।
পালটা, গুমখুন, হত্যা ও ধর্ষণের মতো অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে বিদ্রোহের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিশেষ করে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হওয়ার পর থেকেই আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে বালোচিস্তান। অভিযোগ, খনিজ সমৃদ্ধ প্রদেশটিকে কার্যত লুট করছে ইমরান খানের প্রশাসন। প্রতিদানে বালোচ জনতা পেয়েছে শুধু নির্যাতন ও দারিদ্র।