সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্ত মণিপুর (Manipur)। গত মাস থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩০০-রও বেশি। উল্লেখ্য, মেতেই বনাম কুকি জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে রাজ্যটি। সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করেছে গত ৩ মে থেকে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে হিংসা চরম আকার ধারণ করে এরপরই।
তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে। বহু জেলাতেই কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম ইম্ফল, পূর্ব ইম্ফল ও বিষ্ণুপুরে ১২ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়েছে। এছাড়া জিরিবামে ৮ ঘণ্টা, থৌবল ও কাকচিংয়ে ৭ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। আবার উখরুল, সেনাপতি, ননী, তেমেনগ্লংয়ে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে এগতে চাইছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের মধ্যেই চাপ বাড়ল ব্রিজভূষণের, নিয়ম না মানায় পিছিয়ে গেল শক্তি প্রদর্শনের মিছিল]
সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চারদিনের মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সফরকালেও মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শাহ জানান, মণিপুর হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত চালাবে একটি প্যানেল। একই সঙ্গে শাহ সাফ বলেন, “মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। রাজ্য ভাগ হবে না।” জঙ্গিদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, এই মুহূর্তে অস্ত্র ত্যাগ না করলে ভয়াবহ ফল ভুগতে হবে।
এদিকে অমিত শাহ তাঁর সফরে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, একদিনের মধ্যে যাঁর কাছে যা অস্ত্র আছে তা জমা দিয়ে দিতে হবে। কাউকে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত পাওয়া গেলেই গ্রেপ্তার করা হবে। সেই হুঁশিয়ারির ফলস্বরূপ শুক্রবার জমা পড়েছে ১৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র। মণিপুর পুলিশের তরফে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।