অর্ণব আইচ: পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে বসে থেকেও মেলেনি চিকিৎসা। এই অবসাদেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন হরিদেবপুরের (Haridevpur) এক প্রৌঢ়। ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরই অসু্স্থ হয়ে পড়েন বাবা। মৃত্যু হয়েছে তাঁরও। একইদিনে বাবা-ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
জানা গিয়েছে, বছর ৩৫ আগে একটি দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পেয়েছিলেন গোপাল মণ্ডল নামে হরিদেবপুরের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়। সেই সময় প্লেট বসানো হয়েছিল তাঁর পায়ে। সম্প্রতি গোপালবাবুর সেই পায়ের যন্ত্রণা বেড়েছিল। কিছুতেই তা না কমায় শনিবার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বেহালার একটি হাসপাতালে। অভিযোগ, জরুরি বিভাগে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। পরে ডাক্তার না আসায় বিনা চিকিৎসায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে। এতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন গোপালবাবু। সহ্য করতে পারছিলেন না যন্ত্রণাও। এরপরই রবিবার সকালে হরিদেবপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গোপালবাবুর ঝুলন্ত দেহ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
[আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগে রিপোর্ট নেগেটিভ, পরে করোনা পজিটিভ! হতবাক রোগীর পরিবার]
ছেলের আত্মহত্যার খবর পাওয়া মাত্রই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা ভূতনাথ মণ্ডল। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরপর দুটি দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়েছে গোটা মণ্ডল পরিবার। ঘটনার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, হাসপাতাল থেকে শূন্য হাতে ফিরতে না হলে হয়তো এই দিন দেখতে হত না তাঁদের।
[আরও পড়ুন: কথা রাখলেন দেব, রাশিয়া থেকে পড়ুয়ারা কলকাতায় ফিরলেন সাংসদের উদ্যোগে]
The post মুখ ফিরিয়েছে হাসপাতাল, যন্ত্রণায় আত্মঘাতী প্রৌঢ়, পুত্রশোকে মৃত্যু বাবারও appeared first on Sangbad Pratidin.