অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: শেষ পর্যন্ত খড়গপুর আইআইটির (Kharagpur IIT) সাসপেন্ড হয়ে থাকা অধ্যাপিকা সীমা সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল। খড়গপুর টাউন থানায় “তফসিলি জাতি ও উপজাতি নিপীড়ন বিরোধী আইন ” ১৯৮৯ অনুযায়ী এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মামলা দায়ের করেছেন খড়গপুর টাউন থানার আইসি রাজা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় জাতীয় এসসি-এসটি কমিশনের নির্দেশে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে খড়গপুর আইআইটির অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত এই অধ্যাপিকা বর্তমানে করোনা আক্রান্ত। ফলে এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। খড়গপুর আইআইটির বাসিন্দা এই অধ্যাপিকা সুস্থ হওয়ার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে গ্ৰেপ্তারও করা হতে পারে বলে এই আধিকারিক জানালেন। প্রসঙ্গত, ১৬ ও ২৩ এপ্রিল তফসিলি জাতি-উপজাতির পড়ুয়াদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একটি প্রশিক্ষণ হয় অনলাইনে। অভিযোগ, সেই সময় এই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের উদ্দেশ্য করে কুৎসিত ও অসম্মানজনক মন্তব্য করেন খড়গপুর আইআইটির কলা ও সমাজ বিজ্ঞানের এই অধ্যাপিকা সীমা সিং।
[আৎও পড়ুন: এবার শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা ‘প্রত্যাহার’ রাজ্য সরকারের]
পরবর্তীকালে অনলাইন ক্লাসে অধ্যাপিকার এই কুৎসিত ও অসম্মানজনক মন্তব্য দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গোটা দেশজুড়ে অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। দাবি ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার। তখন চাপে পড়ে খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সাসপেন্ড করা হয় অধ্যাপিকা সীমা সিংকে। এখনও তিনি সাসপেন্ড অবস্থায় রয়েছেন। তারপর শুক্রবার রাতে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ রাজ্য সরকারের নির্দেশে একটি স্বতঃস্ফূর্ত মামলা দায়ের করে।