দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পেটের তাগিদে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যাওয়াই কাল। বাঘের হানায় মৃত্যু হল মৎস্যজীবীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি মইপীঠ কোস্টাল থানার বৈকন্ঠপুর এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কর্ণধর মণ্ডল। তাঁর বয়স ৩৬ বছর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি মইপীঠ কোস্টাল থানার বৈকন্ঠপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, আরও চার মৎস্যজীবীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের আজমলমারীর জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন কর্ণধর। ভাবেননি এতবড় বিপদ অপেক্ষা করছে। আচমকা হামলা চালায় দক্ষিণরায়। টেনে নিয়ে যায় কর্ণধরকে। সঙ্গে থাকা মৎস্যজীবীরা কোনওক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে। তবে ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে কর্ণধরের।
খবর পেয়েই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় কুলতলির মইপীঠ কোস্টাল থানার পুলিশ। মৎস্যজীবীদের দলটির কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না বলেই দাবি বনদপ্তরের। উল্লেখ্য, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় এধরনের ঘটনা নতুন নয়। বনদপ্তরের নিষেধ সত্ত্বেও পেটের টানে প্রায়ই সুন্দরবনের জঙ্গলে যান মৎস্যজীবীরা। বহু মৎস্যজীবী বাঘের মুখে পড়েছেন। কেউ বেঁচে ফিরেছেন। মৃতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।