সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: সম্পর্ক মানতে রাজি হয়নি পরিবার। তা সত্ত্বেও প্রেমকে স্বীকৃতি দিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল যুগল। পরবর্তীতে মেনে নেয় পরিবার। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংসার করা হল না। আত্মঘাতী হল নবদম্পতি। কিন্তু কেন? কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার মুড়াগাছা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুদীপ হালদার। বয়স ১৯ বছর। তাঁর স্ত্রী নাবালিকা, সঞ্চিতা হালদার। দু’জনের বাড়ি নদিয়ার ভীমপুর থানার ঝোড় মুড়াগাছা গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রথমে তা মেনে নেয়নি পরিবার। ফলে বাড়ি থেকে পালিয়েই বিয়ে করে তাঁরা। বেশ কিছুদিন লুকিয়ে ছিল। পরবর্তীতে মেনে নেয় পরিবার। বাড়ি ফিরে আসে। সূত্রের খবর, গতকাল সন্ধেয় পরিবারে কিছু অশান্তি হয়। সন্ধেয় সুদীপের মা বারবার ভাত খেতে ডাকলেও সুদীপ যায়নি। ফের রাতে দিকে মায়ের সঙ্গে অশান্তি হয় দম্পতির। সকালে দিকে বাড়ির লোকজন তাঁদের ডাকলেও দম্পতি সাড়া দেয়নি। এতেই সন্দেহ হয়।
[আরও পড়ুন: ‘কঙ্কালকাণ্ডের নায়ককে ধিক্কার’, জনসভার পরদিনই সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে পোস্টার]
সকাল দশটা নাগাদ দরজা ভেঙে দেখে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে একই কাপড়ে দু’জন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। সূত্র মারফত, জানা গিয়েছে ৭ দিন আগে বিয়ে করেছিল যুগল।