shono
Advertisement

উলঙ্গ হয়ে ঘুরছেন করোনা রোগী, হাসপাতালের অমানবিকতায় ক্ষুব্ধ পরিবার

খাস কলকাতায় অমানবিক দৃশ্য।
Posted: 08:53 AM May 19, 2021Updated: 01:39 PM May 19, 2021

অভিরূপ দাশ: বিরানব্বই বছরের বৃদ্ধ করোনা (COVID-19) আক্রান্ত। তাঁকে যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করেছিলেন তাঁর কন্যা প্রিয়াঙ্কা ভাদুড়ি। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে বাবাকে আনতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। বিবস্ত্র অবস্থায় নিজের বাবাকে ওয়ার্ডে শুয়ে থাকতে দেখলেন কন্যা! হাসপাতালের বক্তব্য, উনি জামাকাপড় ফেলে দিয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, চোখে ভাল দেখতে পান না ওই বৃদ্ধ। বার্ধক্যজনিত কারণে কানেও ভাল শুনতে পান না তিনি। প্রশ্ন উঠছে, বয়সের ভারে কার্যত শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই বৃদ্ধ যদি কাপড় জামা ফেলে দিয়েও থাকেন, তাঁকে কেন তা পরিয়ে দিল না হাসপাতালের নার্সরা? বৃদ্ধার মেয়ে বলছেন, “এটা তো তাদের কর্তব্য। আমি তো বাবাকে ওই অবস্থায় ভরতি করিনি। নিজের বাবাকে উলঙ্গ অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখতে হবে?”

[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রয়েছে শ্বাসকষ্ট]

অ্যাম্বুল্যান্স করে নবতিপর প্রৌঢ়কে বাড়িতে আনার সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি কন্যা। তাঁর প্রশ্ন, হাসপাতাল থেকে আজ বাবাকে ছাড়ার সময় জামাকাপড় পর্যন্ত দেয়নি। যে জামা আমি পরিয়ে পাঠিয়েছিলাম ওরা বলেছে সেই জামা উনি ফেলে দিয়েছেন। যে রোগী চলাফেরা করতে অক্ষম সে নাকি নিজের জামাকাপড় ফেলে দিয়েছে! উলঙ্গ করে বাড়ি ফেরৎ পাঠানোর এই বীভৎসতা, অসম্মানের কোন প্রতিকার হবে না??

গোটা ঘটনায় হতচকিত অ্যাম্বুল্যান্স চালকও। তিনি ওই উলঙ্গ ব্যক্তির গায়ে অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা বিছানার চাদর জড়িয়ে দেন। এই ঘটনার কথা শুনে বিস্মিত সমাজকর্মী রত্নাবলী রায়। তাঁর কথায়, “একটি হাসপাতাল, যেখানে মানুষ শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার স্বপ্ন দেখে। তারা রোগীকে উলঙ্গ করে বাড়িতে ফেরত পাঠাচ্ছে। এটা রাষ্ট্রের লজ্জা। গোটা ঘটনায় শুধুমাত্র ওই ভদ্রলোক উলঙ্গ হল না। রাষ্ট্রের উলঙ্গ রূপটাই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠল।”

[আরও পড়ুন: বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার নামে ‘প্রতারণা’, ইঞ্জেকশন নিয়ে উদ্বেগে দিন কাটছে ৫ জনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement