শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সিপিএম (CPM) নেতার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের (TMC) যোগ রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রফিক আলম। সিপিএমের উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলা এরিয়া কমিটির গোয়ালতোর শাখা কমিটির সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রফিক নামে ওই প্রৌঢ়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। তারপর আর হদিশ মেলেনি তাঁর। সোমবার সকালে ডালখোলা থানার রানিগঞ্জ এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে ঝোপের মধ্যে একটি মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। এই খবর জানাজানি হতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আশপাশের বহু মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। স্থানীয়রাই দেহটি শনাক্ত করে। এরপরই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সূত্রের খবর, মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রফিককে।
[আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই সমস্ত টোলপ্লাজায় বাধ্যতামূলক ফাসট্যাগ, বাংলার কী পরিস্থিতি? জানুন]
সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁর দাবি, রফিককে যারা খুন করেছে অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এপ্রসঙ্গে করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিনহা বলেন, “এই খুনের ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সংযোগ নেই। ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে সিপিএম। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা সামনে উঠে আসবে৷” সিপিএম নেতা রফিক খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। যদিও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। খুনে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা রফিকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ এলাকা।