সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এদেশে প্রশাসনের বুদ্ধি বাড়ে 'চোর' পালানোর পর! দিল্লির (Delhi) রাজেন্দ্রনগরের কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে বৃষ্টির জল ঢুকে তিন আইএএস পড়ুয়ার মৃত্যুর পর শহরের ১৩টি কোচিং সেন্টারকে সিল করা হয়েছে। একই দিনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud) বেদনার্ত চিঠি লিখে পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চাইলেন রাজধানীর এক পড়ুয়া। অবিনাশ দুবে নামের ওই ছাত্র লিখেছেন, "আমরা নরকের মধ্যে বাস করছি।" সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে সাম্প্রতিক ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
চন্দ্রচূড়কে লেখা চিঠিতে রাজেন্দ্রনগর, মুখার্জিনগরের মতো এলাকার জঘন্য পৌর পরিকাঠামো নিয়ে সরব হয়েছেন পড়ুয়া। তাঁর দাবি, খারাপ নিকাশি ব্যবস্থার কারণে ওই এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় প্রায় প্রতি বছর। জলযন্ত্রণার জন্য পৌরনিগমের দায় সারা মনোভাবকেই দায়ী করেছেন ছাত্র। রাজেন্দ্রনগরের বেসমেন্টের মর্মান্তিক ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
[আ্ররও পড়ুন: ‘৬ চক্রব্যুহে বন্দি দেশ’, অভিমন্যুর উদাহরণ তুলে মোদি সরকারকে তোপ রাহুলের]
অবিনাশ লিখেছেন, "বৃষ্টির কারণে বেসমেন্টে জলে ভরে গিয়েছিল। প্রাণ গিয়েছে ৩ জন পড়ুয়ার। স্যর, রাজেন্দ্রনগর, মুখার্জিনগরের মতো এলাকা জলমগ্ন হয় প্রতি বছর, পৌরনিগমের অবহেলার কারণে। বর্ষার সময় হাঁটু জলে যাতায়াত করতে হয় আমাদের। আজ আমাদের মতো ছাত্র-ছাত্রীরা নরকের জীবন যাপন করছি।" একটানা বৃষ্টি হলেও বহু বাড়িতেও যে জল ঢোকে, নর্দমার জল আর বৃষ্টির জল মিলেমিশে ভয়ংকর পরিস্থিতি হয়, সেই কথাও উল্লেখ করেছেন অবিনাশ।
[আ্ররও পড়ুন: ‘অসত্য বলবেন না’, লোকসভায় রাহুলকে ধমক ওম বিড়লার, কেন?]
"আমাদের মতো ছাত্ররা যে কোনও মূল্যে লক্ষ্য ছুঁতে তৈরি। কিন্তু বেসমেন্টের ঘটনা প্রমাণ করলে ছাত্রদের জীবন অসুরক্ষিত। দিল্লি সরকার এবং পৌরনিগম আমাদের কিটপতঙ্গের মতো বাঁচতে বাধ্য করছে।" লেখা হয়েছে চিঠিতে। অবিনাশ প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে আরও বলেছেন, "স্বাস্থ্যকর জীবন একজন ছাত্রের প্রাথমিক অধিকার।" যা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ওই পড়ুয়ার বক্তব্য, "শিক্ষার্থীদের নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রয়োজন যাতে তাঁরা নির্ভয়ে পড়াশুনা করতে পারেন এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।"