সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিন দেশে করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে চাপ বাড়ছে হাসপাতাল আর শ্মশানেও। এর মধ্যেও কিন্তু কিছু মানুষ কর্তব্যে অবিচল। এমনই এক চিকিৎসক পুণের (Pune) সঞ্জীবন হাসপাতালের ডিরেক্টর মুকুন্দ। আপনজনকে হারিয়েছেন আরও ২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি। তাও অন্য করোনা রোগীদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন তিনি। কর্তব্যে খামতি নেই তাঁর!
[আরও পড়ুন: করোনা কালে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য সাংবাদিকদের কোভিডযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা মমতার]
সম্প্রতি চিকিৎসক মুকুন্দের বাবার মৃত্যু হয়েছে করোনায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি তাঁর মা এবং ভাই। মা এবং ভাই আক্রান্ত হওয়ায় মানসিক চাপ বাড়ছে মুকুন্দের। তবুও অন্য রোগীদের চিকিৎসায় গাফিলতি নেই তাঁর। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি খুব কঠিন। আমরা হাতে হাত রেখে বসে থেকে মানুষের মৃত্যু দেখতে পারি না।” চিকিৎসক মুকুন্দের এই কাহিনি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নেটিজেনরা বলছেন, মুকুন্দদের মতো প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা আছেন বলেই এখনও মানুষ এই পরিস্থিতিতে লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারছেন।
ভারতের এই কঠিন পরিস্থিতিতে একের পর এক দেশ থেকে সাহায্য এসে পৌঁছচ্ছে। মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার ভারতে ৫১০ কোটি টাকার ওষুধ পাঠাচ্ছে। এই ওষুধ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা সোমবার এই খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারতের এই কঠিন পরিস্থিতির বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা ভারতের পাশে আছি।”
[আরও পড়ুন: ভাঙা পায়েই ‘খেলা’ মমতার, রাজ্যে তৃণমূলের বিপুল জয়ের নেপথ্যে এই সাত কারণ]
এদিকে জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার মালবাহী বিশাল সি-১৭ বিমানে করে ৪টি ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন কন্টেনার আনা হচ্ছে দিল্লিতে। পাশাপাশি ৪৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার মালবাহী ‘সি-১৭’ বিমানে। ব্রিটেন থেকেও ৪৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হচ্ছে চেন্নাইয়ে।