অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার হাওড়ার শিবপুরে। দরজা ভেঙে বৃদ্ধ দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। একই ঘরে শুয়ে ছিল তাঁদের সন্তান বছর বিয়াল্লিশের এক ব্যক্তি। দেহ উদ্ধারের পরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ দম্পতির নাম প্রদ্যুত বোস ও গোপা বোস। একমাত্র ছেলে শুভজিৎকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই হাওড়ার (Howrah) ১৭ নম্বর কইপুকুর লেনের একটি আবাসনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন বোস দম্পতি। প্রতিবেশীদের কথায়, শনিবার থেকে প্রদ্যুতবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পাননি কেউ। তবে তাঁরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা না করায় প্রথম দিকে কারও মনেই সন্দেহ দানা বাঁধেনি। গত দু’দিন ধরে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন আবাসনের অন্যান্যরা। বুধবার দুর্গন্ধ তীব্র হতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
[আরও পড়ুন: কোচবিহারে দুই ক্লাবের সংঘর্ষের বলি বিজেপি নেতা, খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে]
বুধবার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভাঙতেই বিছানায় মেলে গোপাদেবীর দেহ। সোফায় ছিল প্রদ্যুতবাবুর দেহ। একই ঘরে একটা বিছানায় শুয়ে ছিল মৃত দম্পতির ছেলে। দেহ উদ্ধারের পর এবিষয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও আশানুরূপ কোনও উত্তরই মেলেনি তাঁর থেকে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৃতের এক আত্মীয়ের কথায়, শুভজিতের মানসিক সমস্যা ছিল। কোনওদিনই কারও সঙ্গে মিশত না। একাই থাকত। তবে অত্যন্ত মেধাবি ছাত্র ছিল সে। এমসিএ পাশ করেছিল। যদিও চাকরি সেভাবে কোনওদিনই করেনি। পুলিশের অনুমান, শুভজিৎই কোনওকারণে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বাবা ও মাকে। কিন্তু কেন? উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি না মেলাতেই কি অবসাদ? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।