স্টাফ রিপোর্টার: শিয়ালদহ স্টেশনের ঝাঁ চকচকে লাউঞ্জে খেতে দেওয়া কফিতে (Coffee) মাছি! কফিতে চুমুক দিতেই মরা মাছিটি খদ্দেরের মুখের ভিতর চলে যায়। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
২৫৮ টাকার বিল দিয়ে এমন পরিষেবা মেলায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। লাউঞ্জের অভিযোগপত্রে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আইআরসিটিসির গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র ও শিয়ালদহের ডিএম এসপি সিংকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। দুজনেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন : বাংলায় হাজার মেলা হলেও জব ফেয়ার হয় না, বেকারত্ব ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা বিজেপির]
শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রী পরিষেবার উন্নতি করতে একাধিক পরিষেবা চালু হয়েছে। যার মধ্যে এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ রয়েছে। আইআরসিটিসি পরিচালিত হলেও সেটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। মোট টাকা গুনেও এমন পরিষেবা মেলায় ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে।
যাত্রী পরিষেবার কথা ভেবে রেল শিয়ালদহ স্টেশনে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মল ভাড়া দিয়েছে পঞ্চদীপ কনস্ট্রাকশনকে। এজন্য তারা রেলকে দিচ্ছে ছ’কোটি টাকা। হাওড়া কর্পোরেশনের সঙ্গে কাজ করেছে সংস্থাটি। স্পেনসার্স, খাদিম, বাজার কলকাতার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়েছে সংস্থার। শিয়ালদহের এক কমার্শিয়াল ম্যানেজারের কথায়, অতিমারী পরিস্থিতিতে কথাবার্তায় কিছুটা ছেদ পড়েছে। তবে ব্র্যান্ডেড সংস্থাগুলি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভিআইপি লাউঞ্জের প্রথম তলায় চোদ্দ হাজার বর্গ ফুটের এই মল গড়ে উঠছে। শিয়ালদহ নর্থ, সাউথ, মেন শাখার হাটরি সংখ্যা কম নয়। প্রায় কুড়ি লক্ষ। এই সংখ্যক যাত্রীদের একটা অংশ নিশ্চিতভাবে মলে আসবেন বলেই আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। কিন্তু এত টাকা খরচ করে লাউঞ্জ বা মলে এসে এ ধরণের পরিষেবা পেলে, আদও কি সেখানে যাবেন যাত্রীরা? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।