সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকেই বলেন রাম জেঠমালানি ভারতের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা আইনজীবী। যদিও, আইনজীবী হিসেবে তাঁর সুদীর্ঘ কেরিয়ারে সাফল্য এবং ব্যর্থতা দুইয়েরই নজির আছে। তবে, তিনি পরিচিত আইনজীবী হিসেবে একাধিক বিতর্কিত মামলা লড়ার জন্য। আফজল গুরু থেকে শুরু করে আসারাম বাপুদের হয়ে যেমন মামলা লড়েছেন। তেমনই লড়েছেন অমিত শাহ-লালুপ্রসাদ যাদবের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দুর্নীতির মামলাও। অনেক মামলায় ব্যর্থতা এসেছে। তবুও যে সমস্ত মামলা তিনি হাতে নিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে সাহসিকতার পরিচয়।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম জেঠমালানি]
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, জেঠমালানির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি…
- জেঠমালানি ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের পক্ষে মামলা লড়েন।
- স্টক মার্কেট দুর্নীতিতে হর্ষদ মেহতা এবং কেতন পারেখের পক্ষে মামলা লড়েন।
- লড়েছেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন হাজি মস্তানের হয়ে।
- আড়াল থেকে আফজল গুরুর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে লড়েন। যদিও, জেঠমালানি পরবর্তীকালে দাবি করেন, তিনি এই মামলা কখনই লড়েননি।
- হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে লালকৃষ্ণ আডবানীর হয়ে মামলা লড়েন।
- জেসিকা লাল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মনু শর্মার হয়ে মামলা লড়েন।
- সুরাবুদ্দিন হত্যা মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর বেকসুর খালাস পাওয়ার পিছনেও রয়েছে জেঠমালানির মস্তিষ্ক।
- টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির হয়ে মামলা লড়েন জেঠমালানি।
- খনি কেলেঙ্কারিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার হয়ে মামলা লড়েন।
- পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে লালুপ্রসাদের হয়ে মামলা লড়েছেন।
- অরুণ জেটলির করা মানহানির মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হয়ে মামলা লড়েন।
- যোধপুর ধর্ষণ মামলায় আসারাম বাপুর হয়েও মামলা লড়েছেন জেঠমালানি।
- এছাড়াও তাঁর একাধিক হাই-প্রোফাইল মামলা লড়ার রেকর্ড আছে।
[আরও পড়ুন: ‘বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে’, হাল ছাড়েননি ইসরো চেয়ারম্যান]
স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া আইনজীবী মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে লিখছেন, “রাম জেঠমালানিজির সঙ্গে বহুক্ষেত্রে কাজ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি। তিনি হয়তো আর আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তাঁর কাজ আমাদের মধ্যে থেকে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতারাও। কংগ্রেস নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল বলছেন, “ফৌজদারি মামলায় ওঁর থেকে বেশি জ্ঞান কারও ছিল না। তিনি যে মামলাটি নিতেন অবিচলভাবে সেই মামলাটি লড়ে যেতেন।”
The post আফজল গুরু থেকে আসারাম বাপু! নৃশংস অপরাধীদের ‘ত্রাতা’ ছিলেন জেঠমালানি appeared first on Sangbad Pratidin.