সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণধর্ষণের অভিযোগে ফের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ। মহিলাকে গণধর্ষণ ও জালিয়াতির অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক হরিশ শাক্য ও তাঁর ভাই-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। আদালতের নির্দেশের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে বদায়ুঁর সিভিল লাইন থানা। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে জমি দখল ও গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন ললিত কুমার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, "৮০ লক্ষ টাকা প্রতি বিঘায় জমি বিক্রির কথা হয়েছিল বিধায়কের সঙ্গে। আমার মোট ১৭ বিঘা জমি রয়েছে। তবে হরিশ কম টাকা দিয়ে জোর করে জমির চুক্তি করার চেষ্টা করেন। রাজি না হওয়ায় আমাদের নিজের বাড়িতে ডাকেন বিধায়ক। সেখানে হরিশ ও তাঁর সঙ্গীরা জোর করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এবং হুমকি দেন বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর।"
এই ঘটনার পর সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হন ললিত। গোটা ঘটনা শোনার পর অভিযুক্ত বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশের পর এই ঘটনায় তৎপর হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ললিতের অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণ, প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ। এদিকে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ললিতের মা বলেন, জমি দিতে রাজি না হওয়ায় গত দুই বছর ধরে আমাদের পরিবারের উপর ভয়ংকর নির্যাতন চালাচ্ছেন বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীরা। পরিবারের মান সম্মানের পাশাপাশি জোর করে সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে ওরা।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হরিশ। তিনি দাবি করেন, 'আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। গুরুতর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর বিধায়কের দাবি, আমার রাজনৈতিকভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে এইসব করা হচ্ছে। যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনও ভিত্তি নেই।' উল্লেখ্য, এর আগে গত অক্টোবর মাসে এই বদায়ুঁতেই ৭ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। বদায়ুঁ জেলার বিলসি থানা এলাকায় ওই শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। বাড়ির অদূরে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।