দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ধরে ফেলার শাস্তি। বধূ ও তাঁর প্রেমিকের হাতে আক্রান্ত স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নরেন্দ্রপুরের মহামায়াতলা এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুরের মহামায়াতলার বাসিন্দা গণেশ বৈদ্য ও লীলা বৈদ্য। সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের আসল বাড়ি নামখানা থানা এলাকায়। ১১ বছর আগে লীলার সঙ্গে বিয়ে হয় গণেশের। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিনরাত মোবাইলে ডুবে থাকতেন লীলা। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে গণেশের মনে। এর পরই স্ত্রীর উপর নজরদারি শুরু করেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রী ফোনে কথা বলার সময় গোপনে তা রেকর্ড করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিষয়টা জানাজানি হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কাছে সেনার তথ্য পাচার! গ্রেপ্তার মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী]
এর পরই দম্পতির মধ্যে অশান্তি বাঁধে। এক পর্যায়ে তা চরমে ওঠে। অভিযোগ, এর পরই প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে শিক্ষা দেওয়ার ফন্দি আঁটেন লীলা। অভিযোগ, এর পরই বাটাম দিয়ে স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কোনওক্রমে প্রাণে রক্ষা পান গণেশ। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।