সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীর রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেলে। সোমবার বরেলির এক ব্যক্তির আত্মহত্যা নিয়ে তোলপাড় উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। অভিযোগ ওই ব্যক্তির মেয়ে অপহৃত হন। এক পুলিশ (Police) কর্মী তাঁকে খুঁজে দেওয়ার জন্য বড় অংকের টাকা দাবি করেন। আসহায় বাবা কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বরেলির মউ চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের শিশুপাল। সম্প্রতি কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁর বছর বাইশের মেয়েকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। তার পর ৯ এপ্রিল তিনি রামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন, তাঁর মেয়েকে যে করেই হোক উদ্ধার করে দিতে। অভিযোগ এর পরই ওই থানার ইন-চার্জ রাম রতন সিং শিশুপালকে বলেন, মেয়েকে খুঁজে দিতে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে, দরিদ্র শিশুপালের পক্ষে কোনও ভাবেই সেই টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: মমতার পর এবার কমিশনের কোপে রাহুল সিনহা, ৪৮ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা]
শিশুপালের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বাইকে করে ৩ দুষ্কৃতী এসে তাদের মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। আর তার পর থেকেই মেয়ের চিন্তায় ভেঙে পড়েছিলেন শিশুপাল। সেই সঙ্গে পুলিশের এই বিপুল টাকা দাবির কারণে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না দেখে শিশুপাল গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আর আত্মহত্যার সময় তিনি একটি সুইসাইড নোট রেখে যান। কিন্তু টাকা চাওয়ায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী রাম রতন সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই সুইসাইড নোট ছিঁড়ে ফেলে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ প্রমাণ না হয় সেই চেষ্টাই করেন রাম রতন সিং। এর পর এলাকার মানুষ আর রাম রতন সিংকে ছাড়েননি। তাঁরা আটক করে পুলিশের হাতেই তুলে দেন রাম রতন সিংকে।
গোটা ঘটনা নিয়ে এসএসপি রোহিত সিং সজ্জন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর রাম রতন সিংকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ-সহ গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।