অর্ণব আইচ: নেতাজিনগরে দম্পতি খুনের পাঁচদিনের মধ্যে ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ মহম্মদ হামরুজ আলম নামে ওই অভিযুক্তকে বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাকে জেরা করেই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব বলেই আশা তদন্তকারীদের৷
[আরও পড়ুন: সংগঠনের হাল কেমন? সরাসরি তৃণমূল ব্লক সভাপতিদের ফোন করছেন প্রশান্ত কিশোর]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহম্মদ হামরুজ আলম পেশায় রাজমিস্ত্রি৷ সে কয়েকদিন আগে নিহত দম্পতির বাড়িতে কাজ করেছিল৷ তখনই বাড়ির আটঘাট বুঝে যায় সে৷ এরপর লুটপাটের উদ্দেশ্যে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে হানা দেয়৷ তবে লুটপাটে বাধা দেওয়ায় খুন করা হয় ওই দম্পতিকে৷ খুনের পর সে এ রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যায় বিহারে৷ কাটিহারে গত চার-পাঁচদিন গা ঢাকা দিয়ে বসেছিল৷ তদন্তে নেমে পুলিশ হামরুজের গোপন ডেরার খোঁজ জানতে পারে৷ সেই অনুযায়ী বিহার পুলিশের সঙ্গে যৌথ তল্লাশিতে ওই রাজমিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ধৃতের কাছ থেকে লুটের জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়৷ সেই দিন রাতে কী হয়েছিল তা ওই রাজমিস্ত্রিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের৷ তবে এই ঘটনার পিছনে আর কেউ রয়েছে কিনা তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বাংলার মানুষের সমস্যা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর ফোন নম্বর প্রকাশের দাবি তৃণমূলের]
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে নেতাজিনগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। বছর ৮০-র দিলীপ মুখোপাধ্যায় এবং বছর বাহাত্তরের স্বপ্না মুখোপাধ্যায় ছাড়া ওই বাড়িতে কেউই থাকতেন না৷ বহুবছর ধরেই নেতাজিনগরের বাড়িতেই থাকতেন নিঃসন্তান দম্পতি। রাসায়নিকের ব্যবসা ছিল তাঁদের। মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশীদের কাছে একাকীত্বের কথা বলে দুঃখও প্রকাশ করতেন তাঁরা। দেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ দেখে, একতলায় সিঁড়ির সামনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে স্বপ্নাদেবীর দেহ। দোতলায় লণ্ডভণ্ড ঘরের বিছানা থেকে বালিশ চাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দিলীপবাবুর দেহ। তদন্তে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হয়। আদৌ বড় বাড়ি আত্মসাতের আশায় ওই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে নাকি নিছক লুটপাটে বাধা দেওয়াই খুন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷
The post নেতাজিনগরে বৃদ্ধ দম্পতি খুনে ধৃত মূল অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি appeared first on Sangbad Pratidin.