অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাওড়া ব্রিজের মাথায় এক ব্যক্তি। নিচে থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। পরনে একটি সুতোও নেই। দেখামাত্রই খবর দেওয়া হয় দমকলে। তড়িঘড়ি দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে নিজেই নেমে পড়েন তিনি। আপাতত হাওড়া হাসপাতালে রয়েছেন তিনি।
বুধবার বিকেলে আচমকাই ওই ব্যক্তিকে হাওড়া ব্রিজের ৭ নম্বর পিলারে উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। থমকে যান পথচলতিরা। রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা জড়ো হয়ে যান। তাঁকে নিচে নেমে আসার অনুরোধ করা হয়। তবে সেকথা কানে নিতে নারাজ ওই ব্যক্তি। তখনও আরও উপরে দিকে উঠতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: ‘পিছনে কেন? সামনে আসুন’, রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে বিমান বসুর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় মমতার]
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল কর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁকে নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। তবে ততক্ষণে নিচে নেমে আসেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি আপাতত হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কী কারণে হাওড়া ব্রিজের মাথায় চড়ে বসলেন ওই ব্যক্তি, তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনার জেরে ব্যস্ত বিকেলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। আরও একবার হাওড়া ব্রিজে পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে হাওড়া ব্রিজের মাথায় চড়ে বসলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। তবে কি নিরাপত্তায় গলদ ছিল, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।