গোবিন্দ রায়: স্বাধীন ভারতে একজন নাগরিকের সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে জল-আলো পাওয়া ‘মৌলিক অধিকার’। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছর সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির উত্তর বাদলপুর গ্রামের বাসিন্দা খোকন কুমার মাইতি। অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে চলেছেন তিনি।
হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই ব্যক্তির বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে কোনও বাধার সৃষ্টি হলে সমস্যা মেটাতে আইনি (পুলিশ) সাহায্য নিতে পারবে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা।
[আরও পড়ুন: রাতে থাকা যাবে না হাওড়া স্টেশনে, নিষেধজ্ঞা জারি হওয়ায় বিপাকে যাত্রীরা]
মামলাকারীর আইনজীবী শমীক বাগচী জানান, ২০১১ সাল থেকে তাঁর মক্কেল বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য লড়াই করে আসছেন। যেখানে বিদ্যুৎ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার। সেখানে একাধিকবার বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে সংযোগের জন্য আবেদন জানানো হলেও তারা তা দেয়নি। এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা-সহ বিভিন্ন দপরে আবেদন জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। প্রতিবেশীদের বাধার কারণ দেখিয়ে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সংযোগ দিতে অস্বীকার করেছিল। তাই বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে ওই ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।