shono
Advertisement

১১ বছরের দীর্ঘ লড়াই, অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বাড়িতে এল বিদ্যুৎ

জল-আলো পাওয়া 'মৌলিক অধিকার', বলছে আদালত।
Posted: 10:05 PM Jan 24, 2022Updated: 10:05 PM Jan 24, 2022

গোবিন্দ রায়: স্বাধীন ভারতে একজন নাগরিকের সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে জল-আলো পাওয়া ‘মৌলিক অধিকার’। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছর সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির উত্তর বাদলপুর গ্রামের বাসিন্দা খোকন কুমার মাইতি। অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে চলেছেন তিনি।

Advertisement

হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই ব্যক্তির বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে কোনও বাধার সৃষ্টি হলে সমস্যা মেটাতে আইনি (পুলিশ) সাহায্য নিতে পারবে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা।

[আরও পড়ুন: রাতে থাকা যাবে না হাওড়া স্টেশনে, নিষেধজ্ঞা জারি হওয়ায় বিপাকে যাত্রীরা]

আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, যতই মামলা-মোকদ্দমা থাকুক না কেন, সংবিধানের অধিকার অনুযায়ী বিদ্যুৎ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে গ্রাহ্য হয়। তাই মামলাকারীর বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তাঁকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। এমনকী, আইনসম্মতভাবে উচ্ছেদ না করা হলে তাঁর বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মত আদালতের।

মামলাকারীর আইনজীবী শমীক বাগচী জানান, ২০১১ সাল থেকে তাঁর মক্কেল বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য লড়াই করে আসছেন। যেখানে বিদ্যুৎ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার। সেখানে একাধিকবার বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে সংযোগের জন্য আবেদন জানানো হলেও তারা তা দেয়নি। এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা-সহ বিভিন্ন দপরে আবেদন জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। প্রতিবেশীদের বাধার কারণ দেখিয়ে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সংযোগ দিতে অস্বীকার করেছিল। তাই বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে ওই ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

[আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালের বিল নিয়ে প্রচুর অভিযোগ, রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া নির্দেশিকা রাজ্যের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement