অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল একজনের। ঘটনায় একই পক্ষের জখম আরও পাঁচজন। যাদের মধ্যে জাহিদুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার খয়রামারি চাইপাড়া গ্রামে।
মৃত ব্যক্তির নাম ছুন্যত মণ্ডল। গুরুতর জখম ব্যক্তির নাম জাহিদুল ইসলাম। জখম ও মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভাই। ঘটনার সূত্রপাত খয়রামারি বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে। মৃতের ভাই আহাদুল শেখ জানান, “রবিবার রাতে আমার ভাইপো মুরসালিম মণ্ডল খয়রামারি বিলে মাছ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন প্রায় রাত এগারোটা। মাত্র দু’টো মাছ পেয়েছিলেন। আর ওই বিলের ধারেই সফিক, সামেদ, আবুলদের দখলে পুকুর আছে। তাঁদের অভিযোগ, মুরসালিম অন্যের দখলের পুকুর থেকে মাছ ধরেছে। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা হয়। একরক মারধরও করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা গণ্ডগোল মেটান। এরপর নমাজ পড়ে ফেরার পথে ফের অশান্তি বাঁধে।
[আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণর সাহার মোবাইলেই ৭০% তথ্য! জল থেকে উদ্ধারের পর হাতে পেতে মরিয়া CBI
প্রথমে গুলি ছোঁড়া হয়। গুলি ছুন্যত মণ্ডলের বুকে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে ধরতে গেলে ভোজালি দিয়ে কোপ মারা হয় জাহিদুল ইসলামকেও। এভাবে পাঁচজন জখম হন। গণ্ডগোলের খবরে গ্রামের অন্যান্যরা বেরিয়ে আসেন। অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয়রাই জখমদের উদ্ধার করেন। প্রথমে ডোমকল মহকুমা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে চিকিৎসক ছুন্যত মণ্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন। জাহিদুল ইসলামকে দ্রুত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিবেশী পিন্টু শেখ জানান, “জাহিদুলের অবস্থা গুরুতর।” ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সামাদ সেখ, সফিকুল ইসলাম, মাফিকুল ইসলাম ও আবুল সেখেরা পলাতক। পুলিশ তাদের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে।