সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শার্টে রক্তের দাগ। এক যুবক বসেছিলেন রাস্তার পাশে। রাতের অন্ধকারে নাকা তল্লাশির সময় ওই যুবককে চোখে পড়ে পুলিশের। সন্দেহ হয় তাদের। এগিয়ে এসে প্রশ্ন করায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি যেতে চায় সে। বাড়ি গিয়ে চোখ কপালে উঠল পুলিশের। তদন্তকারীরা জানতে পারেন নিজের প্রেমিকাকেই খুন করেছে সে। চেন্নাইয়ের ঘটনায় অবাক প্রায় সকলেই।
বছর আটত্রিশের রাজা চেন্নাইয়ের কুন্দ্রাথুর এলাকারই বাসিন্দা। বছর পাঁচেক আগে কান্নাম্মা নামে এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় তার। মন দেওয়া নেওয়া হতে বেশি সময় নষ্ট হয়নি। ক্রমশই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। একই জায়গায় থাকতে শুরু করে রাজা এবং কান্নাম্মা। ওই যুবক জানায়, গত শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে। কান্নাম্মার সঙ্গে যৌনতায় মেতে ওঠার চেষ্টা করে। ওই অবস্থায় রাজার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি ছিল তরুণীর। নিজের মতামত স্পষ্টভাবে জানান কান্নাম্মা।
[আরও পড়ুন: ঝুলন্ত বাবা, বিছানা ও মেঝেয় পড়ে মা-মেয়ের দেহ, একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য]
তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রাজা। কান্নামাকে জোর করতে শুরু করে। তাঁকে বিছানায় টেনে নিয়ে যায়। তার প্রতিবাদ করেন তরুণী। এদিকে, যুগলের চিৎকার চেঁচামেচি কানে যায় প্রতিবেশীদেরও। তাঁরা দৌড়ে আসেন। সেই সময় পুরো বিষয়টি জানতে পারেন পাড়া পড়শিরা। রাজাকে সেই সময়ের মতো বাড়ি থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন প্রতিবেশীরা। সেই মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় রাজা। এদিকে, কান্নাকাটি করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়েন তরুণীও।
বেশ কিছুক্ষণ পর রাজা বাড়িতে ঢোকে। সেই সময় সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন। কান্নামার পোশাক খোলার চেষ্টা করে যুবক। ফের বাধা পায় সে। আর মাথা ঠিক রাখতে পারেনি ওই যুবক। এরপর ধারালো অস্ত্রের কোপ দেয় সে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় তরুণীর। খুনের পর বাড়ি থেকে রক্তমাখা শার্ট পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় রাজা। নাকা তল্লাশির সময় পুলিশের নজরে চলে আসায় গোটা ঘটনাটি জানাজানি হয়। পুলিশ তরুণীর দেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তেও পাঠানো হয়েছে দেহটি।