রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: পেটের তাগিদে কেরল গিয়ে বদলে গেল ভাগ্য। ৫০ টাকায় লটারির টিকিট কিনে রাতারাতি কোটিপতি তেহট্টের পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়িতে খবর পৌঁছতেই উৎসবের আমেজ।
ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সুখেন বৈদ্য। বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে। অভাবের সংসার, মরচে ধরা টিনের ছাউনি দেওয়া ঘর, সামান্য বৃষ্টিতে ঘড়ে জল পড়ে। তাই সংসারের হাল ধরতে বছরের বেশিরভাগ সময় ভিনরাজ্যেই থাকেন সুখেন। কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই লটারির টিকিট কিনতেন তিনি। বুধবার সেরে ফেরার পথে ৫০ টাকা দিয়ে কেরল সরকারের একটি লটারির টিকিট কেনেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধুদের সঙ্গে চা খেতে বেরন ওই যুবক। টিকিট মেলাতেই চক্ষুচড়কগাছ। দেখেন, প্রথম পুরস্কারের এক কোটি টাকা পেয়েছেন তিনিই। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠান তেহট্টের বাড়িতে।
[আরও পড়ুন: নিজের মেয়েকে লাগাতার ‘ধর্ষণ’, নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হতেই জানাজানি! গ্রেপ্তার বাবা]
বাবা সুভাষ বৈদ্য বলেন, “ঠাকুর আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছে। বাড়িতে কৃষ্ণ মন্দির ও হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দির বানাব। তার পর যা থাকবে তাতে দেখব ব্যবসা করা যায় কি না।” সুখেনবাবুর স্ত্রী অঞ্জনা বৈদ্য জানান, তাঁর স্বামীরা তিনভাই, সংসারের হাল ধরতে প্রত্যেকেই ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। এভাবে যে ভাগ্য বদলে যাবে তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি। এখন স্বামীর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় তাঁরা সকলে।