জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: শ্বাসকষ্টে ভুগছিল নাবালিকা। ডাক্তার দেখিয়েও লাভ না হওয়ায় ওঝার দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবার। সেটাই কাল হল। ঝাড়ফুঁকের নামে নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল ওঝার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর আষাড়ু পঞ্চায়েত।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর (Bangaon) আষাড়ু পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল সে। পরিবারের লোকেরা নাবালিকাকে একাধিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। এর পরই প্রতিবেশীরা সাদিক বিশ্বাসের কাছে ঝাড়ফুঁক করানোর পরামর্শ দেন। সেই মতো ওই ওঝার সঙ্গে যোগাযোগ করে নাবালিকার পরিবার।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাংসদ খুনে ঘনাচ্ছে রহস্য, অভিযুক্তের খোঁজে নেপালে নজর সিআইডির]
পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে ওই ওঝা তাঁদের বাড়িতে যায়। এর পর ঝাড়ফুঁকের নামে নাবালিকাকে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানেই নাবালিকার শ্লীলতাহানি করা হয়। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নাবালিকা। কোনওরকমে বেরিয়ে ওঝার কুকীর্তির কথা সে জানায় তার পরিবারে। রাতেই পরিবার বাগদা থানার দারস্থ হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে।