shono
Advertisement

মিলখার পরে এবার আরেক দৌড়বীরের জীবন সেলুলয়েডে

সাফল্যের একেকটি ধাপ অতিক্রম করে চলেছে বুধিয়া, সেই সঙ্গে উত্তরোত্তর বাড়ছে বিতর্ক।
Posted: 12:13 AM Jul 11, 2016Updated: 06:44 PM Jul 10, 2016

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাল ২০০৬। ভুবনেশ্বর থেকে পুরী। পাক্কা ৬৫ কিলোমিটার। দৌড়ে যেতে সময় লেগেছিল ৭ ঘণ্টা ২ মিনিট। দৌড়বাজের নাম উঠেছিল লিমকা গিনেস বুক অফ রেকর্ডে।
কারণ, তার তখন বয়স মাত্র ৪ বছর। নাম বুধিয়া সিং।

Advertisement


বলাই বাহুল্য, বিশ্বের কনিষ্ঠতম ম্যারাথন রানার হিসেবে বুধিয়াকে নিয়ে খবরের অভাব হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই তার জীবন-সংগ্রাম নজর কেড়েছিল ছায়াছবি নির্মাতাদেরও।
তারই ফসল ‘বুধিয়া সিং: বর্ন টু রান’ ছায়াছবি। রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করা এক সন্তানকে আরেক সন্তানের শ্রদ্ধার্ঘ্য।


মুম্বইবাসী ওড়িশি পরিচালক সৌমেন্দ্র পাধি প্রথম যখন এই খবর পান, তখন থেকেই ঠিক করে ফেলেছিলেন বুধিয়াকে নিয়ে একটা ছবি বানাবেন। সেই মতো তৈরি হতে থাকে ছবির চিত্রনাট্য। প্রাথমিক ভাবে ছবির নাম ঠিক হয় ‘দুরন্ত’। পরে সরাসরি বুধিয়ার নামেই ছবির নাম রাখা হয়।


সৌমেন্দ্রর এই ছবি শুধু বুধিয়াই নয়, তার প্রশিক্ষক বিরঞ্চি দাসেরও গল্প বলছে। ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট বুধিয়াকে একটু একটু করে লড়াইয়ের জন্য তৈরি করছেন বিরঞ্চি। সাফল্যের একেকটি ধাপ অতিক্রম করে চলেছে বুধিয়া, সেই সঙ্গে উত্তরোত্তর বাড়ছে বিতর্ক। বিরঞ্চির দিকে উঠছে অভিযোগের আঙুল- তিনি অন্যায় ভাবে ব্যবহার করছেন বুধিয়াকে। ছিনিয়ে নিচ্ছেন তাঁর শৈশব! এই গল্প নিয়ে ট্রেলারের পাশাপাশি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে একটি গানও। তার নামা হয়েছে ‘বর্ন টু রান অ্যানথেম’।

ছবিতে বুধিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছে শিশুশিল্পী ময়ূর পটোলে। বুধিয়ার প্রশিক্ষকের চরিত্রে ছবিতে দেখা যাবে মনোজ বাজপেয়ীকে। বুধিয়ার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিলোত্তমা সোম। ৫ আগস্ট ছবিটির মুক্তির দিন ধার্য হয়েছে।
তা, বুধিয়ার এই ছবি নিয়ে বক্তব্য কী?
বুধিয়ার আপাতত আবাস কলিঙ্গ স্টেডিয়াম হস্টেল। এখন তার বয়স বছর তেরো। দিন চারেক আগে আচমকাই সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। রাজ্য জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়- কোথায় যেতে পারে সে!
পরে বুধিয়ার মা জানান, ছেলে রয়েছে তাঁর কাছে, গ্রামের বাড়িতে। হস্টেলে ঠিকঠাক খাবার পায় না, আদর-যত্ন হয় না, তাই সে পালিয়ে এসেছে। তাকে নিয়ে তৈরি একটা ছবি যে মুক্তির দোরগোড়ায়, সেটাও সে জানে কি না সন্দেহ!
অন্য দিকে, বুধিয়ার প্রশিক্ষক বিরঞ্চি দাস এখন আর বেঁচে নেই। ২০০৮ সালে এক স্থানীয় গ্যাংস্টারের দলের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
সেলুলয়েড কিন্তু কাউকেই ভোলেনি। তুলে ধরেছে বুধিয়া আর বিরঞ্চির একসঙ্গে লড়াইয়ের কাহিনি। ভিডিওয় রইল তারই কয়েক ঝলক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement