সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: কোন্নগরের হীরালাল পাল কলেজের পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। খাস কলকাতায় ক্যাম্পাসের বাইরে আক্রান্ত হলেন এক অধ্যাপক। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বেতন বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষকদের, নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের]
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল কাফি। শুক্রবার দুপুরে যখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের বাইরে চা খাচ্ছিলেন, তখন ওই অধ্যাপকের উপর চড়াও হয়ে রীতিমতো চুলের মুঠি ধরে মারধর করতে শুরু করেন এক যুবক। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে মাটিতে পড়ে যান ওই অধ্যাপক। শেষপর্যন্ত আশেপাশের লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাঁকে উদ্ধার করেন। আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই অধ্যাপককে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপককে মারধর করার পর ওই যুবককে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘরে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
কিন্তু হামলাকারীর পরিচয় কী? কেনই বা তিনি অধ্যাপক আবদুল কাফিকে মারধর করলেন? জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম রাজেশ সাঁতরা। তাঁর বাড়ি হুগলির আরামবাগে। ২০১৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন তিনি। পুলিশের বক্তব্য, জেরায় রাজেশ জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন পরীক্ষায় তাঁকে কম নম্বর দিয়েছিলেন বাংলার বিভাগের অধ্যাপক আবদুল কাফি। আক্রান্ত অধ্যাপকের দাবি, দিন কয়েক আগে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাঁকে আপত্তিকর বার্তা পাঠিয়েছিলেন রাজেশ। সেই বার্তাটি আর খুলে দেখেননি তিনি। সেই রাগে গত শনিবার গড়ফার বাড়িতে গিয়ে রাজেশ ওই অধ্যাপককে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আসেন বলেও অভিযোগ।
উল্লেখ্য, বুধবার পড়ুয়াদের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যের গন্ডগোলে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কোন্নগরের হীরালাল পাল কলেজ। মধ্যস্থতা করতে গিয়ে ছাত্র সংসদের সদস্যদের হাতে মার খেতে হয় ওই কলেজেরই অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। কলেজের গেটের বাইরে রাস্তায় ফেলে তাঁকে রীতিমতো চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। আক্রান্ত অধ্যাপককে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনওরকম অসুবিধা হলে তাঁকে ফোন করার পরামর্শও দেন। হীরালাল পাল কলেজে গিয়ে অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। ঘটনায় হীরালাল পাল কলেজের তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: শিক্ষিকাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে অনড় পার্থ, অপব্যাখ্যার দাবি শিক্ষামন্ত্রীর]
The post কোন্নগরের পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপককে ‘মার’ প্রাক্তন ছাত্রের appeared first on Sangbad Pratidin.