সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ছাত্রী ও তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানির (Molest) অভিযোগ উঠল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ২ অধ্যাপক ও তাঁদের স্ত্রী। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরে।
বর্ধমান রাজ কলেজের (Burdwan Raj College) ইংরাজির অধ্যাপক বিশ্বনাথ সাহা। বর্ধমান পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপক অভিজিৎ চক্রবর্তী। তাঁর মেয়ে রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সেই সূত্রে বিশ্বনাথের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। অনলাইন ক্লাসের কারণে নম্বর আদানপ্রদানও হয়। আর পাঁচজন ছাত্রছাত্রীর থেকে খানিকটা বেশিই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। পরবর্তীতে বিশ্বনাথবাবু জানতে পারেন তাঁর ছাত্রী হাইপ্রেশারের রোগী। সেই কারণে প্রেশার মাপার যন্ত্র নিয়ে বুধবার ছাত্রীর বাড়িতে যাবেন বলে জানান ওই অধ্যাপক। নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরও হয়ে যান সেখানে। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না অভিজিৎবাবু। জানা গিয়েছে, তিনি রাতে ফেরার পর তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে জানান, প্রেশার মাপার অছিলায় তাঁদের শ্লীলতাহানি করেছেন বিশ্বনাথ।
[আরও পড়ুন: মোর্চার ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র সুযোগে পাহাড়ে সক্রিয় GNLF, ‘স্বাভিমান’ বাঁচাতে জনসভার ডাক মন ঘিসিংয়ের]
এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বিশ্বনাথের বাড়ি হাজির হন অভিজিৎ। রাজ কলেজের ওই অধ্যাপক ও তাঁর স্ত্রী বাধা দিতেই চারজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। প্রথমে সস্ত্রীক দুই অধ্যাপককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দু’পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিশ্বনাথবাবুও তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে। দুই অধ্যাপকের এই অশান্তিতে উত্তপ্ত এলাকা।