শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: সরকারি চাকরি পাওয়ার পর থেকেই বদলাতে শুরু করেছিল প্রেমিকের আচরণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে ভেবেছিল কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা। কিন্তু ঠিক হল না কিছুই। বরং প্রেমিকের আচরণে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তু নিল ওই ছাত্রী। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের দফরপুরের বাসিন্দা অঙ্কিতা দাস। জঙ্গিপুর কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিল সে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গিপুরের বাসিন্দা রাহুল দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তাঁর। দুই পরিবারও সবটাই জানত। বিয়ের কথাবার্তাও হয়েছিল। এদিকে চাকরির চেষ্টা করছিল রাহুল। সম্প্রতি পুলিশে চাকরি পায় সে। অঙ্কিতার পরিবারের সদস্যের অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পর থেকেই ওই যুবকের আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়। প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি ওই তরুণী। তবে পরবর্তীতে বিয়ের জন্য ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে বসে রাহুল।
[আরও পড়ুন: ‘নো এন্ট্রি’ নয়, জগদ্ধাত্রী পুজোয় মণ্ডপে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে প্রতিমা দর্শনে ছাড় চন্দননগরে]
প্রেমিকের মুখে একথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে অঙ্কিতার। বোঝানোর চেষ্টা করে রাহুলকে। কারণ, মধ্যবিত্ত পরিবারের অঙ্কিতার বাবার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু পুলিশকর্মী রাহুলও নাছোরবান্দা। দাবি মোতাবেক টাকা পেলে তবেই বিয়ে করবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় সে। এতেই অবসাদে ভুগতে শুরু করে ওই ছাত্রী। এরপর শুক্রবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় অঙ্কিতার ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, অবসাদ, অপমানেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অঙ্কিতা। ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রাহুল দাসের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এবিষয়ে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।