সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন দুর্গাপুরের (Durgapur) বধূ। স্ত্রীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ব্যানার নিয়ে ধর্নায় বসলেন স্বামী। আরজি শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যেতে হবে স্ত্রীকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ ময়দানে নামেন পুলিশ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের মায়াপুরের বাসিন্দা অপর্ণা দাস। ২০১২ সালে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গান্ধীনগর কলোনির বাসিন্দা দেবদুলাল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। প্রথম দিকে স্বাভাবিকই ছিল সবটা। ২০১৪ সালে পুত্র সন্তান হয় ওই দম্পতির। অপর্ণা দাসের অভিযোগ, সন্তান জন্মের পর থেকে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বারবার বলার পরও কোনও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে বাপের বাড়ি চলে যান অপর্ণা।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৭৬২ জন, দুই জেলার কোভিড গ্রাফে জারি চিন্তা]
এই অশান্তির মাঝেই শনিবার মায়াবাজারে শ্বশুরবাড়ির সামনে হাজির হন দেবদুলাল দাস। সঙ্গে ছিল ব্যানার। তাতে লেখা, “অপর্ণা ফিরে চলো শ্বশুরবাড়িতে। অপর্ণা দাস তাঁর ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে যতদিন না বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে, আমি অপর্ণার বাপের বাড়ির সামনে অবস্থানে থাকব।” দেবদুলাল দাসের কথায়, তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর কোনও সমস্যা নেই। শনিবার তিনি সাফ জানিয়েছেন, স্ত্রী ও সন্তানকে ছাড়া বাড়িতে ফিরবেন না তিনি।
খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত ডিটিপি ফাঁড়ির পুলিশ। দেবদুলাল দাসকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। অবশেষে দেবদুলাল দাস ও তাঁর স্ত্রী অপর্ণা দাসকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডাকা হয় মীমাংসার জন্যে।