সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের শহিদ দিবসের (TMC Martyr’s Day) আগের রাতেই চলল গুলি। ফের থমথমে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া (Habra)। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এক তৃণমূল নেতা। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। গুলি চলার পর থেকে শাসক-বিরোধী তরজা অব্যাহত।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে (TMC) যোগদান করতে চলেছেন। মঙ্গলবার সন্ধেয় সেই যোগদান নিয়েই হাবড়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডের হাটথুবার ঘোষপাড়া এলাকায় লক্ষ্মী বিশ্বাস নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বৈঠক চলছিল। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব সরকার নামে এক তৃণমূল নেতা। একটি ফোন আসে তাঁর। তবে ফোনে নেটওয়ার্কের সমস্যা হচ্ছিল। তাই বাড়ি থেকে সামনে বেরিয়ে ফোন ধরতে গিয়েছিলেন রাজীব। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ঠিক সেই সময় তাঁর দিকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক ধেয়ে আসে। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় সে। কোনওক্রমে লাফ দিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে। তার ফলে প্রাণ বাঁচে ওই তৃণমূল নেতার।
[আরও পড়ুন: লাফিয়ে বাড়ল দেশের দৈনিক Corona সংক্রমণ, একদিনে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল ১০ গুণ!]
একুশের জুলাইয়ের ঠিক আগের রাতের এই ঘটনার পর থেকেই শুরু রাজনৈতিক আকচাআকচি। বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলেই দাবি তৃণমূলের। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তাদের পালটা দাবি, গুলি চলার ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তার জেরে এই কাণ্ড ঘটেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা ঢাকতেই বিজেপির ঘাড়ে কার্যত দোষ চাপানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিরোধী পদ্ম শিবিরের। এই ঘটনায় হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।