বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নৃশংসভাবে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC worker)। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণী থানার গয়েশপুরের সুকান্তনগরে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত গেরুয়া শিবির। যদিও সে দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। খুনের ঘটনাকে তৃণমূলের অন্তর্কলহ বলেই দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বাপ্পা সরকার। পেশায় চায়ের দোকানদার বাপ্পা সরকারের বাড়ি সুকান্তনগরেই। এদিন রাতে নিজের দোকানের সামনে তিনি কথা বলার সময় কয়েকজনের সঙ্গে তার বচসা বাঁধে। এরপরে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর বুকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বাপ্পা সরকার। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । মৃত বাপ্পা সরকারকে নিজেদের দলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের গয়েশপুর শহর সভাপতি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ,”বাপ্পা সরকার গয়েশপুর পুরসভার ২২৫ নম্বর বুথের আমাদের দলের একজন এজেন্ট ছিলেন। বিজেপির (BJP) লোকজন এদিন গয়েশপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে লিফলেট বিলি করেছিল। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। সেই লিফলেট বিলি করা নিয়ে আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী বাপ্পা সরকারের সঙ্গে কয়েকজনের বচসা বাঁধে। এরপরে দুষ্কৃতীরা খুব সামনে থেকে তাঁর বুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই তৃণমূল কর্মী। এই খুনের ঘটনার পিছনে বিজেপির লোকজন জড়িত।”
[আরও পড়ুন: ‘দু’পয়সার প্রেস’ মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়, ‘সঠিক’ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন মহুয়া]
যদিও বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তীর পালটা অভিযোগ, “রাজা নামে ওই এলাকার একজন কুখ্যাত সমাজবিরোধী আমাদের দলের একজন কার্যকর্তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাপ্পা সরকার নামে একজন নিরীহ মানুষের বুকে লাগে। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে । এটা তৃণমূলের নিজেদের দলের ব্যাপার। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই।” মৃত বাপ্পা সরকারের ছেলে বিশাল সরকারের বক্তব্য, “আমার বাবার কোন শত্রু ছিল বলে জানা নেই। আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করতেন। কেন যে আমার বাবাকে খুন হতে হল, তা আমি বুঝতে পারছি না।” পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কী কারণে ঘটল এই খুনের ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।