অর্ণব আইচ: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার চিৎপুরে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্তের স্বার্থে মৃতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেরা করা হবে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতার চিৎপুরের বীরপাড়া রাজা মনীন্দ্রচন্দ্র রোডের বাসিন্দা ছিলেন সঞ্জয় দাস। পেশায় অটোচালক। স্ত্রী মুনমুন দাস ও ১৮ বছরের ছেলের সঙ্গে একটি বাড়ির তিনতলায় ভাড়া থাকতেন সঞ্জয়। তাঁর স্ত্রী একটি নামী কেকের দোকানে কর্মরত ছিলেন। জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তি চলছিল। সূত্রের খবর, মুনমুনকে সন্দেহ করতেন স্বামী। তার ধারনা তৈরি হয়েছিল যে মুনমুন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এমনকী সে লুকিয়ে লুকিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতেন বলেও সন্দেহ করত সঞ্জয়। যা নিয়ে নিয়মিত অশান্তি লেগেই থাকত।
[আরও পড়ুন: ‘সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কারা পান?’, অডিটের দাবিতে বিধানসভায় সরব বিজেপির অশোক লাহিড়ী]
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই চিৎপুর থানায় হাজির হয় সঞ্জয়। জানায়, সে শ্বাসরোধ করে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। হতবাক হয়ে যান পুলিশ অফিসাররা। এরপর সঞ্জয়কে সঙ্গে নিয়েই তার বাড়িতে যান তাঁরা। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় মুনমুনের গলায় ওড়নায় ফাঁস দেওয়া দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করছে পুলিশ। পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাড়িতে ছিল না ওই দম্পতির ছেলে। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কাজে বেরনোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। সেই সময় ফের অশান্তি বাধে তাঁদের মধ্যে। যার পরিণতি হয় ভয়ংকর। স্রেফ সন্দেহের বশেই এই খুন নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।