অর্ণব আইচ: অটোয় সহযাত্রীর মুখে নেই মাস্ক। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে প্রতিবাদ করেছিলেন যুবতী। তারই জেরে হুমকি ও হেনস্তার শিকার হতে হল তাঁকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই ঘটনার সূত্রপাত। রাতে মানিকতলার সাহিত্য পরিষদ স্ট্রিট থেকে বেলেঘাটার সিআইটি রোড মোড়ে যাওয়ার জন্য অটো ধরেন ওই যুবতী। তিনি বেলেঘাটারই ড. এসসি রোডের বাসিন্দা। ওই সময় অটোয় অন্য যাত্রী ও চালকের মুখে মাস্ক ছিল। মাস্ক পরেছিলেন ওই যুবতীও। কাঁকুড়গাছিতে একজন ওই অটোয় ওঠেন। কিন্তু তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না। এতে অন্য যাত্রীও বিরক্ত হন। সহযাত্রী মাস্ক না পরায় সরাসরি প্রতিবাদ করেন যুবতী। মাস্ক পরতে বলেন। ওই ব্যক্তি মদ্যপান করে ছিল বলেই অভিযোগ। মাস্ক পরতে বলতেই যুবতীকে উদ্দেশ্য করে কুটূক্তি করেন তিনি। গালিগালাজের পাশাপাশি যুবতীকে ভবিষ্যতে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। মোবাইল বের করে যুবতীর ছবি তোলার চেষ্টাও করেন। যদিও তাতে লাভ হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘অনুপ্রবেশকারীরাই আপনার ভোটব্যাংক’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ অমিত শাহের]
এরপর রাতেই বাড়ির লোকেদের পরামর্শে যান বেলেঘাটা থানায় যুবতী। গোটা বিষয়টি জানান। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বেলেঘাটা এলাকারই বি এম রোডের বাসিন্দা। বুধবার গভীর রাতে রাতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই যুবতীকে হুমকি ও হেনস্তার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কলকাতায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর ফের মাস্ক নিয়ে পুলিশ কড়াকড়ি করেছে। রাস্তা বা বাজারের সঙ্গে সঙ্গে চলন্ত বাস, অটো বা ট্যাক্সির চালক ও যাত্রী প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেউ মাস্ক না পরলে তার বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে। কখনও কেউ মাস্ক না পরলে তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক বিলি করা হচ্ছে।