সঞ্জিত ঘোষ, কৃষ্ণনগর: পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার। প্রাতঃভ্রমণকারীরা তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরিচয় লোপাট করতে অ্যাসিড ঢেলে কিংবা আগুন জ্বালিয়ে তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ওই এলাকায় তরুণীকে খুন করা হয়েছে নাকি অন্যত্র থেকে আনা দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণপাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক মহিলা জানান, লক্ষ্মীপুজো হওয়ায় বাড়িতে কাজ করছিলেন। সেই সময় প্রাতঃভ্রমণকারীরা দেখতে পান তরুণীর দেহ পড়ে রয়েছে। তরুণীর দেহটি যেখানে উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে পুলিশ সুপারের অফিসের দূরত্ব ৫০০ মিটার। আবার এটি দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া এলাকা। তার ফলে এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। তার পরই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেখেন এক তরুণী বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তরুণী ২০-২১ বছর বয়সি হবে। দেহ উদ্ধারের সময় পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। কিছুটা ছিঁড়ে গিয়েছে। আবার কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছে। মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে কিছুই চেনা যাচ্ছে না।
তরুণীর পরিচয় জানা বেশ দুষ্কর। ওই তরুণী এলাকার নাকি বহিরাগত, সে সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতেও তদন্তকারীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা। কৃষ্ণনগরের কোতয়ালি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই কীভাবে হত্যা, সে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সঞ্জয় মিতকুমার মাকোয়ান বলেন, "ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করেছে। তবে এখনও দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।"