সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক্সাইড মোড়ের পর এবার বেহালা (Behala)। খাস কলকাতায় ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘দাদাগিরি’। একটি দোকানের সামনে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে তরুণ-তরুণীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। অভিযোগ জানাতে গেলে সেভাবে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলেও দাবি ওই তরুণ-তরুণীর।
ওই তরুণ-তরুণীর দাবি, তাঁদের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। সে কারণে কেনাকাটি লেগেই রয়েছে। বেহালায় কেনাকাটি করতে দু’জনে বাইকে করে একটি দোকানের সামনে যান তাঁরা। দোকানের সামনে বাইক দাঁড় করিয়ে কেনাকাটি করছিলেন দু’জনে।
[আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা, ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পকে স্বীকৃতি কেন্দ্রের]
ঠিক সেই সময় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) দোকানের সামনে আসেন। কেন বাইক দোকানের সামনে দাঁড় করানো হয়েছে, সেই প্রশ্ন করেন তিনি। সরিয়ে দেওয়া হবে বলেই জানান ওই তরুণ-তরুণী। সেই মতো বাইকটিকে ঘোরাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ওই বাইকে চড়ে বসেন সিভিক ভলান্টিয়ার। নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাফিক পুলিশের কিয়স্কে। অভিযোগ, সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণ-তরুণীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের।
সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ডায়মন্ড হারবার থানায় যান দু’জনে। অভিযোগ থানায় হেনস্তার শিকার হন তাঁরা। সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা না নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁদের থানায় বসিয়ে রাখা হয়। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ওই তরুণ-তরুণী। বৃহস্পতিবার ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানায় যাওয়ার ভাবনা রয়েছে তাঁদের। উল্লেথ্য, এর আগে সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘দাদাগিরি’র সাক্ষী হয় এক্সাইড (Exide) মোড়। হাওড়াগামী একটি বাস থেকে ধৃত ছিনতাইবাজকে রাস্তায় ফেলে বুকে পা তুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সাসপেন্ডও করা হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বেহালায় ‘দাদাগিরি’ সিভিক ভলান্টিয়ারের।