অর্ণব দাস, বারাকপুর: সাত-আট বছর আগে বাবার মৃত্যু। সেই সময় বাবার চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল মায়ের। আর সেই প্রতিহিংসার বশে উৎসবের মরশুমে মাকে খুন করল ছেলে। ঘটনার মোড় ঘোরাতে মা আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে সে। তবে মাত্র পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত।
মৃত বছর বাষট্টির শ্যামলী শিকদার নোয়াপাড়ার ঘোষপাড়া রোডের বাসিন্দা। মহাষষ্ঠীর সকালে নোয়াপাড়া থানায় একটি ফোন আসে। সৌরদীপ শিকদার নামে এক যুবক জানায় তার মা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তবে গলায় ফাঁস লাগানোর দড়ির মাপ এবং শরীরে থাকা বেশ কিছু চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের।
[আরও পড়ুন: অসুস্থকে নিয়ে ‘মা’ উড়ালপুলে উঠল রিকশা, প্রশ্নের মুখে ট্রাফিক নজরদারি]
মৃতার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত সৌরদীপ। মাকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সাজিয়েছে বলেই জানায় সে। কিন্তু কী কারণে মাকে খুন করল সে? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জানিয়েছে সাত-আট বছর আগে তার বাবার মৃত্যু হয়। বাবা অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও মা চিকিৎসায় তেমন কোনও উদ্যোগ নেননি। এছাড়া তার আরও দিদিরা মায়ের সম্মতিতে সম্পত্তির ভাগ থেকে বঞ্চিত করে। সেই আক্রোশেই মাকে খুন করেছে ওই যুবক। আরও তথ্যের খোঁজে ওই যুবককে জেরা করছে পুলিশ।