নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় (Chopra)। ইতিমধ্যেই দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও কী কারণে এই খুন ও আত্মহত্যা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মৃত যুবকের নাম নান্টু রায়। তাঁর স্ত্রী সোমা। ওই দম্পতির এক দুবছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। সোমবার সকালে খুদে ঘুম ভেঙে উঠে দেখে মা ঘুমিয়ে। মায়ের নিস্প্রাণ শরীরে হাত রেখে তারস্বরে নাগাড়ে কেঁদেই চলেছে বছর দু’য়ের কন্যাটি। কান্নার আওয়াজ পেয়ে পাশের ঘর থেকে দাদু ছুটে গিয়ে জানলা ঠেলা দিতেই ভয়ংকর দৃশ্য নজরে পড়ে। দেখেন, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ছেলে। বিছানায় একমাত্র নাতনির পাশে বউমার মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন টেপাগাঁও এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে দেহদুটি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ইসলামপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন,”প্রাথমিক তদন্তে অনুমান স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। ঘটনার তদন্তের জন্যভ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ দুটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: তলবি সভায় অনুপস্থিত তৃণমূল, নির্দল কাউন্সিলরদের সমর্থনে ঝালদা পুরসভা দখল করল কংগ্রেস]
মৃতের বড় দাদা মন্টু রায় কৃষি দপ্তরের কর্মী। তাঁর দাবি, রবিবার রাতে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে যে যার ঘরে চলে গিয়েছিল। সকাল আটটা নাগাদ ভাইকে ডাকতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। তারপর ঘটনাটি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে চোপড়ার ননীতাল কলোনি থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মৃতার বাবা স্বপন হালদার। তিনি বলেন, “সাড়ে তিনবছর আগে বিয়ের পর থেকে জামাই নানাভাবে মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত। অশান্তির কারণেই মেয়েকে খুন করে জামাই আত্মহত্যা করেছে।” তবে স্থানীয় প্রতিবেশীদের অভিযোগ, নান্টু জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”