ধীমান রায়, কাটোয়া: স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না। প্রায় দেড়বছর ধরে দেখাসাক্ষাত নেই। আদালতে মামলা চলছে। এই অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে করেছেন স্ত্রী। খবর পেয়েই স্ত্রী দ্বিতীয় শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন যুবক। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার গুসকরা শহরের। যদিও এতে লাভ হবে না বুঝে অবশেষে ধরনা তুলে নেন যুবক।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের সারঙ্গপুরের বাসিন্দা নির্বাণ বিশ্বাসের (২৭) সঙ্গে ভাতারের রায়রামচন্দ্রপুর গ্রামের সঙ্গীতা ঘোষের(২২) প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বছর দুয়েক আগে পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। তা নিয়ে দুই পরিবারের প্রচুর অশান্তিও হয়েছে। কিন্তু যুগল নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন। তবে বিয়ের মাস তিনেক পেরনোর আগেই ছন্দপতন। শুরু হয় তাঁদের মধ্যে অশান্তি। সেই থেকে সঙ্গীতা বাপেরবাড়িতেই ছিলেন। অনির্বাণের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলাও করেছিলেন বধূ। অনির্বাণও পালটা অভিযোগ দায়ের করেন। দু’জনের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে মাদ্রাসা, হাই-মাদ্রাসার ফলাফল, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল বোর্ড]
এই পরিস্থিতিতে বুধবার গুসকরা শহরের শান্তিপুরের বাসিন্দা দীপক মণ্ডল(৩২) নামে এক যুবকের সঙ্গে সঙ্গীতাদেবীর বিয়ে হয়। পেশায় ব্যবসায়ী দীপকও বিবাহিত। মাসচারেক আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। বুধবার সঙ্গীতাদেবীর সঙ্গে তার বিয়ের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দীপকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন অনির্বাণ। তাঁর হাতে প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, “সঙ্গীতা আমি তোমায় খুব ভালবাসি। তুমি ফিরে চলো।” অনির্বাণের কীর্তি দেখে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভিড় করেন প্রতিবেশীরা। তারা অনির্বাণকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা। ‘নববধূ’ সকলের সামনেই অনির্বাণকে সাফ বলেন, “আমি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি। তুই পারলে অন্য কোথাও বিয়ে করে নে।” অগত্যা আর কী! ফিরে যান যুবক।