শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: যুবককে খুনের পর মাটিতে দেহ পুঁতে রাখল বাবা-মা ও দাদা। ভয়ংকর ঘটনার সাক্ষী উত্তর দিনাজপুরেরর চোপড়া (Chopra)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সমীর বালা। উত্তর দিনাজপুর চোপড়ার সোনাপুর পঞ্চায়েতের বিলাতিবাড়ি সংলগ্ন ধোপতিডাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বাবা, মা ও দাদার সঙ্গে থাকতেন। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরতেন তিনি। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। গত প্রায় ২০ দিন ধরে দেখা মেলেনি সমীরের। বাড়িতে অশান্তিও ছিল না। তবে তা নিয়ে প্রথমে কারও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু এরই মাঝে গতকাল সমীরের বাড়ির ২০০ মিটার দূরে ধানখেতে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, বিহারের বাসিন্দা তিনি। ওখানে আরও দেহ থাকতে পারে এই আশঙ্কায় তল্লাশি চালায় চোপড়া থানার পুলিশ। সেই সময়ই মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয় সমীরের দেহ।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে পরপর জঙ্গি হামলা কাশ্মীরে, শহিদ এক পুলিশকর্মী, আহত অন্তত দুই]
এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, নিজের বাবা, দাদা ও মা-ই খুন করেছে সমীরকে। কিন্তু কেন? প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মদ্যপান নিয়েই পরিবারের সঙ্গে অশান্তি বেঁধেছিল সমীরের। সেই সময় মেজাজ হারান পরিবারের সদস্যরা। তখনই রাগের মাথায় ছেলেকে খুন করে আপনজনেরা। এরপর প্রমাণ লোপাটে দেহ পুঁতে দেয় জমিতে।
সোমবার দেহ উদ্ধারের পরই সমীরের বাবা, মা ও দাদাকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। এ বিষয়ে ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “খুনের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। মৃতের দাদাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।”