ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: মুখ্যমন্ত্রীর বারবার সরব নিয়েছেন রেফার সমস্যা নিয়ে। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও স্রেফ রেফারের জেরে এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে পড়লেন বছর ছাব্বিশের মেঘনাদ চন্দ্র। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, টালিগঞ্জের বাসিন্দা মেঘনাদ চন্দ্র। বয়স ২৬ বছর। সোমবার বিকেলে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পান মেঘনাদ। যন্দ্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের তরফে যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর হাসপাতালে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম ও চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। সেখানেও চিকিৎসা মেলেনি বলেই অভিযোগ। শেষে মঙ্গলবার ভোররাতে তাঁকে এনআরএসে পাঠানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে মেঘনাদকে দীর্ঘক্ষণ বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় যুবকের।
[আরও পড়ুন: গণেশ, কালী, কৃষ্ণ হয়ে পুকুরে ফুটছে মুক্তো! নবান্নের উদ্যোগে ডিজাইনার মুক্তোচাষ রাজ্যে]
পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে তিনটি হাসপাতাল রেফার করেছে ওই যুবককে। এনআরএস হাসপাতালে ভরতি নিলেও সেখানে বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়। যার জেরে এই ঘটনা। তবে হাসপাতালের দাবি, চিকিৎসা করা হয়েছিল। মেঘনাদের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা হচ্ছিল। তবে তার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন যুবক।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে এনআরএসে আনা হয়েছিল। চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের আগে মৃত্যু হয়েছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আশাকরি আগামীতে এই ঘটনা ঘটবে না।” প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার রেফারের জেরে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে শহরে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন একাধিকবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আগে চিকিৎসা দিতে হবে। তারপর সমস্ত নিয়মকানুন। হাসপাতালের প্রথম দায়িত্ব প্রাণ বাঁচানো। তা সত্ত্বেও বারবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে একই অভিযোগ।