সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আ দেখে যারা কিসমে কিতনা হ্যায় দম, জমকে রাখ না কদম মেরে সাথিয়া’। রবিবার পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাংক (PMC bank) দুর্নীতির মামলায় স্ত্রী বর্ষা রাউতকে তলব পাঠিয়েছে ইডি। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করতে বলেছে। আর তার ঠিক পরে বলিউডে স্টাইলে এর জবাব দিলেন শিব সেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। টুইট করলেন বিখ্যাত একটি হিন্দি সিনেমার গানের লাইন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে তাঁর পিছনে লাগিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কোনও লাভ হবে না বলেও কটাক্ষ করলেন।
সোমবার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপির বিরোধিতা করার জন্য তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানালেন সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। এপ্রসঙ্গে নাম না করে কেন্দ্রকেও আক্রমণ করেন তিনি। ইডি (ED)’র নোটিসকে কাগজের টুকরোর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘গত এক বছরে শরদ পাওয়ার, একনাথ খাড়সে ও প্রতাপ সরনায়েক নোটিস পেয়েছেন। আর এখন আপনারা আমার নাম আলোচনা করছেন। যে নামগুলো বললাম তাঁরা মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এগুলো শুধুমাত্র কাগজেরই টুকরো, আর কিছু নয়।’
[আরও পড়ুন: নজরে চিন! ৩ দিনের দক্ষিণ কোরিয়া সফরে ভারতীয় সেনাপ্রধান নারাভানে]
রাজনীতির লড়াইয়ে পরিবারকে টেনে আনার কড়া সমালোচনা করে শিব সেনা সাংসদ, ‘বাড়ির মহিলাদের টার্গেট করা কাপুরুষের কাজ। তবে কেউ যদি এই ধরনের কিছু করে না হলে আমরা কখনই ভয় পাই না। ইডি কিছু কাগজ চেয়েছে। আমরা সেগুলো সময়মতোই জমা দেব।’
ইডির তলবের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলতে গিয়ে আরও বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। আমার শিক্ষিকা স্ত্রী বাড়ি কিনবেন বলে তাঁর এক বন্ধুর থেকে ১০ বছর আগে টাকা ধার নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আয়কর দপ্তরকে দেওয়া পাশাপাশি আমার রাজ্যসভায় জমা দেওয়া হলফনামাতেও উল্লেখ করা রয়েছে। কিন্তু, ইডি ১০ বছর বাদে ঘুম থেকে উঠে এই চুক্তি নিয়ে কথা বলছে। আসলে গত ২৭ তারিখ থেকে ইডির দপ্তরে কিছু বিজেপি নেতাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে। তাঁদের হাতে কিছু কাগজও চোখে পড়ছে।’
সম্প্রতি দলীয় মুখপত্র সামনায় তৃণমূল সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন শিব সেনার রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করতে কেন্দ্র যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, তা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন। কটাক্ষ করে বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে বড় মাপের সমাবেশ ও রোড শো চলছে। অন্যদিকে করোনার প্রকোপ এড়াতে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে নৈশ কারফিউ জারি করতে হচ্ছে। শাসকরা বিধি লঙ্ঘন করে, আর জনগণ তার মূল্য চোকায়।