সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির করুণ কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি নিয়ে এবার সরব হলেন শাসকদল আম আদমি পার্টিরই বিধায়ক শোয়েব ইকবাল। দিল্লি হাই কোর্টে তাঁর আরজি, দিল্লিকে বাঁচাতে রাজধানী এবং সংলগ্ন অঞ্চলে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। সেটা না হলে দিল্লির রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে থাকবে। দলীয় বিধায়কের এই আরজিতে অস্বস্তি বাড়ল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির সরকারের।
দিল্লির মাটি মহল এলাকার ৬ বারের বিধায়ক শোয়েব। আগে ছিলেন কংগ্রেসে। ২০২০ সালে কংগ্রেস (Congress) ছেড়ে আপের টিকিটে লড়াই করেন তিনি। রাজধানীর বর্তমান দুর্দশার জন্য প্রকারন্তরে দিল্লি সরকারকেই দোষী মনে করছেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় নিজের অসহায়তার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “একজন জননেতা হিসেবে আজ আমি বিন্দুমাত্র গর্বিত নই। বরং অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করছি। কারণ এই করুণ পরিস্থিতিতে কাউকে এতটুকু সাহায্য করতে পারছি না। সরকারও আমাদের আর কোনও রকম সাহায্য করতে পারছে না। আমি ৬ বারের বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও আমার কথাও কেউ শুনছেন না।” রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে শোয়েব ইকবাল (Shoaib Iqbal) বলছেন,” “দিল্লির (Delhi) পরিস্থিতি দেখে আমার কান্না পাচ্ছে। হৃদয় যন্ত্রনায় ফেটে যাচ্ছে। কোথাও অক্সিজেন নেই, ওষুধ নেই। মিলছে না রেমডিসিভির ওষুধও।” আপ বিধায়কের বক্তব্য, তাঁর বন্ধুও মৃত্যু শয্যায়। এবং নিজের বন্ধুর জন্যও অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। রেমডেসিভির জোগাড় করতে পারলেন কিনা সেটাও তিনি জানেন না।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্র ও রাজ্যে ভ্যাকসিনের পৃথক দাম কেন? মোদি সরকারকে বিঁধল সুপ্রিম কোর্ট]
এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ দিল্লিতেই। কার্যত ভেঙে পড়েছে রাজধানীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। চিকিৎসা তো মিলছেই না, মৃতদেহ দাহ করতেও লাইন দিতে হচ্ছে। শ্মশান, কবরস্থানে জায়গা নেই, গণচিতা জ্বলছে রাস্তায়। অনেকেই রাজধানীর এই অবস্থার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করছে। কিন্তু দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার যে দায় এড়িয়ে যেতে পারে না, সেটা আপের এই বিধায়কের কথাতেই।