স্টাফ রিপোর্টার: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রামীণ উন্নয়নে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যজুড়ে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টি। সোমবার রাজ্যের একটি প্রকল্প ‘কর্মতীর্থ’ নিয়ে সরব হয়েছে আপ। তাঁদের বক্তব্য, হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও তার কোনও বাস্তবিক প্রয়োগ নেই। মানুষের উন্নয়নও এ দিয়ে হয়নি বলে দাবি তাদের। এই তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আগামিদিনে তারা গ্রামে গিয়ে সরকারের মুখোশ খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিল্লির নিদর্শন তুলে ধরে আপের (AAP) এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সঞ্জয় বসু সেখানে অসংখ্য কর্মসংস্থানের দাবি করেছেন।
এদিন আপ নেতা কলকাতায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁর অভিযোগ, কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানিয়েছে সরকারি ওয়েবসাইট ‘এগিয়ে বাংলা’। কিন্তু তার কোনও ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই। তাঁর কথায়, “ঘটা করে বড় বাড়িই তৈরি হয়েছে শুধু। সেসব এখন বন্ধ পড়ে আছে। আমরা গিয়ে বাস্তব ছবিও তুলে এনেছি।” রাজ্যজুড়ে ৫৫ টির বেশি এমন বিপণীর বাড়ি আছে। সঞ্জয়ের দাবি, “ওই বাড়িগুলিতে ৩০টি করে দোকান করে স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি নানা সামগ্রী বিক্রি করার কথা। কিন্তু সেখানে আছে শুধু চিপস আর পানের দোকান।”
[আরও পড়ুন: ঋণখেলাপি মামলায় বড় সাফল্য সিবিআইয়ের! দেশে ফেরানো হল নীরব মোদির ‘ডানহাত’ সুভাষ পরবকে]
তাঁর তোপ, “সরকার ভাঁওতাবাজি করছে। আমলা দিয়ে কাজ করছে। এগুলো কর্মতীর্থ না অকর্মতীর্থ গিয়ে দেখুন।” দিল্লির উদাহরণ দিতে গিয়ে আপ নেতা জানিয়েছেন, সেখানে দু’হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল যুবক-যুবতীদের। তাঁদের কাছেই ব্যবসার নানা আইডিয়া চাওয়া হয়। ৫১ হাজার আইডিয়া আসে। তাদের মধ্যে থেকে ১২৫টি সামনে রেখে ছোট উদ্যোগকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করে দাঁড় করানো হয়েছে। সে তুলনায় বেকার সমস্যা সমাধানে বাংলার সরকার উদ্যোগী নয় বলে দাবি আপের।
[আরও পড়ুন: হিজাব থেকে হালাল, বিতর্কের কর্ণাটকে জল মাপতে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে বিজেপি]
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবের ভোটে বড়সড় সাফল্যের পরই অন্যান্য রাজ্যগুলিতে পা বাড়ানো শুরু করে আম আদমি পার্টি। হিমাচল প্রদেশ, হুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি বাংলাকেও টার্গেট করছে তাঁরা। আপ সূত্রের দাবি, রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে যে এলাকায় তাঁদের সংগঠন সক্তিশালী সেই সেই এলাকায় তারা প্রার্থী দেবে।