সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ায় না থেকেও ট্রোলের মুখে পড়লেন আমির খান (Aamir Khan)। কী এমন করেছেন সুপারস্টার। প্রয়াত ‘দঙ্গল’ অভিনেত্রী সুহানি ভাটনাগরের (Suhani Bhatnagar) স্মরণসভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর ছবির পাশে দাঁড়িয়েই হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন। শোকসভায় দাঁড়িয়েও এত হাসি কেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
আমির খানের ‘দঙ্গল’ সিনেমায় কুস্তিগীর ববিতা ফোগাটের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুহানি। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৪। এর আগে একাধিক বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন সুহানি। তবে ‘দঙ্গল’-এর পর খ্যাতি পান তিনি। ফতিমা সানা শেখ, জায়রা ওয়াসিম, সানিয়া মালহোত্রাদের পাশাপাশি সুহানির কাজও প্রশংসিত হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন সুহানি। ডার্মাটোমায়োসাইটিস নামের রোগের চিকিৎসা চলছিল ১৯ বছরের অভিনেত্রীর। এটি একটি রেয়ার কন্ডিশন। যা ত্বক, মাসল, ফুসফুস-সহ শরীরের একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে।
[আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যকে ‘প্লাস্টিক’ বলে কটাক্ষ ইমরানের! নিজের বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে কী বক্তব্য তারকার?]
জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে সুহানির দুই হাত ফুলতে শুরু করেছিল। সেই সময় তাঁকে স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছিল। কারণ তাঁর ক্ষেত্রে নাকি এটিই একমাত্র ওষুধ ছিল। স্টেরয়েডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় সুহানির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। তাঁর ফুসফুস দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে জলও জমে গিয়েছিল। সেই কারণেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল। প্রায় ১০ দিন এইমসে ভর্তি ছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। এই সমস্ত কিছু আমির বিন্দুমাত্র জানতেন না। প্রয়াত অভিনেত্রীর মা জানান, তাঁরা নিজেরা এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে কাউকে কিছু জানাবার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না।
সোশাল মিডিয়ায় আমির নেই। তবে তাঁর প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে সুহানির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে আমির যান সুহানির স্মরণসভায়। সেখানে সুহানির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তার পর ক্যামেরার সামনে পোজ দেন। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় সমালোচনা। “শুধু সেলিব্রিটি আছে বলেই হাসির কোনও মানে হয় না”, “বুঝতে পারছি না ওঁর মা কেন এত খুশি”, “নির্লজ্জতার কোনও সীমা নেই, এত হাসি কেন”, “এটা শোকসভা না গেট টুগেদার”, এমন মন্তব্য করা হয়েছে ছবিতে।