সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগেই ‘খয়রাতির রাজনীতি’র বিরোধিতা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এহেন জনমোহিনী নীতির ফলে দেশ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে দাবি করেছিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছে আম আদমি পার্টি।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দলের তরফে বলা হয়েছে, প্রান্তিক মানুষের উন্নতির জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হলে তাকে ‘খয়রাতি’ বলে দাগিয়ে দেওয়া উচিত নয়। পিটিশনে বলা হয়েছে, “ভারতীয় সংবিধানের (Indian Constituition) নির্দেশমূলক নীতিতে বলা হয়েছে, সকল মানুষের জন্য ন্যূনতম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা থাকা উচিত। ভারতের মতো দেশে সমাজের সকলের অবস্থার মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য নেই। প্রান্তিক মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে চায় আপ (AAP)।”
[আরও পড়ুন: জল্পনাই সত্যি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা নীতীশ কুমারের]
সেই সঙ্গে আপের তরফে জানানো হয়েছে, খয়রাতি নিয়ে যদি তদন্ত করতেই হয়, তাহলে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের প্রাপ্য নিয়ে আলোচনা করা উচিত। ভারতের অর্থনীতিতে ভাঙনের কথা আলোচনা করতে হলে রাজনীতিকদের কী দেওয়া হয়, সেদিকেও নজির রাখতে হবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, “বিনামূল্যে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াকে খয়রাতি বলা যায় না। মানুষের প্রতি সরকারের কর্তব্য এটা।” জানা গিয়েছে, আগামী ১১ আগস্ট এই মামলা নিয়ে শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি মামলা দায়ের করে বলা হয়েছিল, নির্বাচনের আগে ভোটারদের সমর্থন পেতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলি। তার ফলে প্রভাবিত হন ভোটাররা। পরে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসে। উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেছিলেন, “ভারতের সকল করদাতা মনে করেন, উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করার জন্য তাঁরা সরকারকে কর দেন না। কিন্তু তাঁদের মতামত প্রকাশ করা এবং আলোচনা করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করা প্রয়োজন। মানুষকে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার কথা বলে আসলে লাভবান হয় রাজনৈতিক দলগুলি।”