সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাংলায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র সুবিধা পেয়েছেন মহিলারা। সেই সাফল্যকে পাথেয় করে গোয়ায় ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। এবার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুকরণ করলেন আম আদমী পার্টির (AAP) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ১৩ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আপ প্রধান। সেখানেই গোয়ার মহিলাদের মাসিক এক হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।
এদিন গোয়ার জন্য ১৩ দফা প্রতিশ্রুতি দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তার মধ্যে যেমন রয়েছে কর্ম সংস্থান, খনন কার্য শুরু, জমির অধিকারের মতো প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তেমনই রয়েছে মহিলাদের মাসির এক হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এক্ষেত্রে তাঁরা তৃণমূলকে অনুসরণ করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। তবে ঘাসফুল শিবির গোয়ার মহিলাদের মাসিক ৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: Tsunami: জেগে উঠেছে সমুদ্রগর্ভের ‘ঘুমন্ত দানব’, সুনামির আশঙ্কায় কাঁটা আমেরিকা-রাশিয়া-সহ একাধিক দেশ]
এদিন কংগ্রেস এবং বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন আপ। কেজরিওয়াল টুইটারে লিখেছেন, গোয়ায় আপ জিতলে ৫ বছরে ১০ লক্ষ টাকা বাঁচবে সাধারণ মানুষের। কারণ, বিদ্যুৎ-জল-সহ একাধিক সুবিধা মিলবে বিনামূল্যে। এমনকী, বেকারদের প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার। এর পরই গোয়াবাসীর উদ্দেশে কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, “২ হাজার টাকার বিনিময়ে কেন বিজেপি-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন? যখন আমরা জিতলে ১০ লক্ষ টাকা বাঁচাতে পারবেন।” আবার কংগ্রেসকেও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কেজরিওয়ালের দল। কটাক্ষ, “আমরা যেমন বিনামূল্যে বিদ্যুৎ-জলের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তেমন কংগ্রেসও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে, তাঁদের পাওয়া প্রতিটা ভোট বিজেপির কাছে যাবে। ১৭ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১৫ জনই তো বিজেপিতে যোগ দেবেন।” তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা শব্দও খরচ করেননি কেজরীওয়াল। উলটে জোটের রাস্তা খোলা রাখলেন তিনি।
হাতে আর মাত্র এক মাস। তার পরই গোয়ায় বিধানসভা ভোট। আরব সাগরের তীরে এবার লড়াই চতুর্মুখী-বিজেপি-কংগ্রেস-তৃণমূল-আম আদমী পার্টি। একে অপরকে ক্রমাগত টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সকলের মূল শক্র বিজেপি হলেও সেখানে এখনও বিরোধী জোট গড়ে ওঠেনি। ভোটের আগে কোনও দলের সঙ্গে জোটে যাবে না আপ, এদিন তা স্পষ্ট করে দিলেন আপ প্রধান। তবে ভোটের পর বিজেপি বিরোধী জোট হতেই পারে বলে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন দিল্লির পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদ।
[আরও পড়ুন: ‘ব্লাউজ পরে আসুন’, অন্তর্বাস পরে আসায় বিমানে উঠতে পারলেন না প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স]
এদিন ইস্তেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও কটাক্ষ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় আপ সবচেয়ে সৎ দল। আসলে বহু উনি বহু চেষ্টা করেছেন। সিবিআই লাগিয়েছেন, পুলিশ তল্লাশি করেছে, কমিশন গড়ে ৪০০ ফাইল পরীক্ষা করিয়েছেন, তবু আমার গায়ে দাগ প্রমাণ করতে পারেননি। কারণ দুর্নীতিমুক্ত সরকার আমাদের ডিএনএ।”