সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত রাজধানী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(CAA)প্রতিবাদে আজও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত। সোমবার রাতের উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও বেলা বাড়তেই হিংসা ছড়ায় দিল্লির ভজনপুরা চক, বিজয়পার্ক, কারাওয়াল নগর, মউজপুর ও যমুনা বিহারে। ইট, লাঠি হতে যুবকদের ছুটতে দেখা যায় একে অপরের দিকে। বন্ধ করে দেওযা হয় স্কুল-কলেজ। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গোকুলপুরীর দোকানগুলিতে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, তবে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আহতের সংখ্যা শতাধিক। শুধুমাত্র পাথর বৃষ্টি নয়, কয়েক রাউন্ড গুলি চলারও অভিযোগ ওঠে।
বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry)সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় মউজপুরা। ১৪৪ ধারা জারি করা হয় দিল্লির খাজুরিখাস ও ভজনপুরা চক এলাকায়। কিন্তু কোথায় কী? ১৪৪ ধারাকে অগ্রাহ্য করে একদল যুবক রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে ইট ও লাঠি হাতে। পুলিশের কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্মুহু ছুঁড়তে থাকে পাথর। সংঘর্ষের এই চিত্রে ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় পুলিশ। লাঠি দিয়ে নির্বিশেষে ভাঙচুর চালানো হয় রাস্তায় দাঁড় করানো গাড়ি, বাইকের ওপর। ছাড় পায়নি দমকলকর্মীদের গাড়িও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, “ইচ্ছাকৃতভাবেই এই ধরণের অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে দিল্লিতে।” তবে বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে হাতের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। ভজনপুরা চকে নতুন করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বিজলানি জানান, “কেজরিওয়াল সহ আমরা সকলেই চাই দিল্লিতে শান্তি ফিরে আসুক।” দিল্লিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানান কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, “রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে বাইরের রাজ্যের মানুষ অশান্তি ছড়াচ্ছে।”
অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজঘাটে গিয়ে ও শান্তির প্রার্থনায় বসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সহ আপের বাকি বিধায়করা।
[আরও পড়ুন:অশান্তিতে বন্ধ দিল্লির একদিকের স্কুল, অপরপ্রান্তে কেমন হল মেলানিয়ার ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’?]
তবে প্রায় ২ মাস ধরে চলা শাহিনবাগের আন্দোলন হিংসাশ্রয়ী না হলেও হঠাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময়ই কেন উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিল্লি? এই প্রশ্ন ভাবায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। অঙ্ক কষেই দিল্লিতে এই উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় নামানো হয় র্যাফ। রুট মার্চ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় দিল্লি পুলিশ।
দেখুন ভিডিও:
The post দিল্লির হিংসায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকও appeared first on Sangbad Pratidin.